আমাদের উচিত নিষ্কলুষভাবে সমাজকে কিছু দেওয়া

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ৮৫ ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে আজাদী সম্পাদক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, আমাদের সবার উচিত নিষ্কলুষভাবে সমাজকে কিছু দেওয়া। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব। শিক্ষা কারো সাথে প্রতারণা করে না।

গতকাল চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল মিলনায়তনে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ৮৫ ট্রাস্ট আয়োজিত বর্ষসেরা ছাত্র সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জানার আগ্রহ থাকতে হবে। জানার আগ্রহ আপনাকে শিক্ষিত করে তুলবে। আগ্রহ না থাকলে শিক্ষা লাভ করা যায় না। ভালো মানুষ হতে হলে শিক্ষা লাভ করতেই হবে। এটা ছাড়া ভালো মানুষ হওয়া যায় না। শিক্ষা মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।

এম এ মালেক বলেন, এক লোক আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, কীভাবে একুশে পদক পাওয়া যায়? আমি তাকে বলেছি, যে কাজটি করবেন নিষ্ঠার সাথে করবেন। তাহলে সফল হতে পারবেন।

তিনি বলেন, প্রাপ্তির আশায় কখনো কোনো কিছু করিনি। সব সময় মনে করি যেটা করছি সেটা ভালোভাবেই করব। চেষ্টা করেছি সব সময় মানুষের পাশে থাকার। বাবা আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন আজাদী পত্রিকা। শিশু কাগজটিকে দাঁড় করানো ছিল মূল চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে আজাদীর প্রথম হেডলাইন ছিল ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।

আজাদী সম্পাদক বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি লালসবুজ পতাকা দিয়ে গেছেন। আমার মৃত্যুর পর লালসবুজের পতাকাটি আমার কফিনের ওপর শোভা পাবে। এক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ৮৫ ব্যাচের ছাত্র এবং প্রফেসর অফ কম্পিউটার সায়েন্স অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর মঞ্জুর মোরশেদ। তিনি বলেন, আমি এখনো একজন ছাত্রের মতো পথ চলি, শিক্ষকের মতো নয়। সব সময় কলেজিয়েটের সাথে আছি। যখনই আমাকে ডাকা হবে আমি হাজির হব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। উপস্থাপনায় ছিলেন ৮৫ ট্রাস্টের আহ্বায়ক এবং এভার কেয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ডা. শেখ মোহাম্মদ মামুন। উপস্থিত ছিলেন ৮৫ ব্যাচের মুসলিম উদ্দিন (ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি) ও ডা. গবিন্দ চন্দ্র বনিক (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক)

পূর্ববর্তী নিবন্ধপালাব না, ফখরুল সাহেবের বাসায় উঠব : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধখাজা মঈনুদ্দিন চিশ্‌তি (রহ.) ছিলেন ভারত উপমহাদেশে শ্রেষ্ঠ ইসলাম প্রচারক