চট্টগ্রামে দুই বছর বয়সী শিশুকে অপহরণ করে টাকা দাবির অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী আবাসিক এলাকা
থেকে শনিবার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. জুয়েল মিয়া (২৪), তার বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে। থাকে নগরীর বায়েজিদ থানার বালুচরা এলাকার জামাই কলোনিতে। গ্রেপ্তার জুয়েল ও শিশুটির পরিবার একই ভবনে থাকে। শিশুটির বাবা মোহাম্মদ পিয়ার ভবনটির কেয়ারটেকার এবং ফার্নিচার ব্যবসায়ী।
র্যাব জানায়, অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ (৪৪) একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে–মেয়েকে নিয়ে বায়েজিদ বোস্তামীর জালালাবাদ এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের। প্রতিবেশী জুয়েলের সঙ্গে পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে–মেয়েদেরও সখ্যতা তৈরি হয়। তারা জুয়েলকে ভাই বলে ডাকতো। সেও বিভিন্ন সময় ওই শিশুদের দোকান থেকে চকলেট–চিপস কিনে দিত। গত শনিবার দুপুরে শিশুটি তার ভাইয়ের সাথে খেলার সময়
জুয়েল কৌশলে শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে যায়।
মেয়েকে না পেয়ে পিয়ার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে প্রতিবেশীরা জানান, তারা শিশুটিকে কোলে নিয়ে জুয়েলকে রাস্তার দিকে যেতে দেখেছেন। এক পর্যায়ে জুয়েল ফোনে পিয়ারের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একইসঙ্গে দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন হুমকি–ধমকি দিতে থাকে। আর টাকা তাড়াতাড়ি না পাঠালে তার মেয়েকে আর ফেরত দেবে না এবং হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দেবে বলেও শাসায়।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার আজাদীকে বলেন, অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ বিষয়টি র্যাবকে জানালে অভিযোগ পেয়েই আমরা দ্রুততার সঙ্গে অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালাই। শনিবার রাতে সাড় ৯টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণকারী জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত ওই শিশুটিকেও উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, জুয়েলের বেশ কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া ছিল। পিয়ার তাকে ভাড়া পরিশোধের জন্য চাপ দিতেন। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে জুয়েল শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।