মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আহমদিয়া মঞ্জিলের মোন্তাজেম ও সাজ্জাদানশীনে দরবার শাহসুফি সৈয়দ আহমদ হোসাইন শাহরিয়ার মাইজভাণ্ডারী (ম.) বলেছেন, মাইজভাণ্ডারি দর্শন হচ্ছে সার্বজনীন–সাম্য ও বিশ্বমানবতার জন্য নিবেদিত প্রাণ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্মে অবিচল থেকে সঠিক ধার্মিকতা পালনের মাধ্যমে একক স্রষ্ঠার ধ্যানে জ্ঞানে মশগুল হয়। শাহরিয়ার মাইজভাণ্ডারি বলেন, মাইজভাণ্ডারি দর্শনের ভাবনা বিশ্বব্যাপী। সাম্য–সম্প্রীতি ও ভালবাসার শিক্ষা দেয় মাইজভাণ্ডারি দর্শন। তাই মাইজভাণ্ডারি সকল দাওয়াতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষকে আহবান জানানো হয়। উপমহাদেশের প্রধান আধ্যাত্মিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ। এ ত্বরিকার অনুসরণ ও অনুকরণেই আমরা ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ পাবো।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে অধ্যাত্ম শরাফতের মহান প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকার একমাত্র প্রবর্তক হযরত গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারি মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৭তম পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফে আগত আশেক–ভক্তদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। শাহসুফি সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল মাইজভাণ্ডারির সভাপতিত্বে আনজুমানের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নাজমুল হাসান মাহমুদ শিমুলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কাজী মুহাম্মদ জানে আলম বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, আব্দুল হামিদ, মুফিজুল আলম, সহকারী সচিব মুহাম্মদ হাসান, লালন ওসমান, কফিল উদ্দিন। মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল হকের পরিচালনায় মিলাদে নববী ও তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব শান্তি কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।