বাঙালির পেট ঠাণ্ডা, মাথাও ঠাণ্ডা আছে

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

আজাদী অনলাইন | বুধবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১:১৮ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার দেশবাসীকে সতর্ক করে এলেও দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সুযোগই দেখেন না খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, “শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, সবাই ভালো আছে। বাঙালির পেট ঠাণ্ডা, মাথাও ঠাণ্ডা আছে।”

তিনি বলেছেন, “দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, হওয়ার কোনো চান্স নাই, যদি আল্লাহ নিজের হাতে গজব না দেয়। সামনে বোরো আবাদ হচ্ছে, বোরোর আবাদও মানুষ পাগলের মতো করছে। বোরো ফলনও ভালো হবে যেখানে ১৫-১৬ মণ হতো, সেখানে এবার ২০-২৫ মণ হবে।“

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের সেশনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন খাদ্যমন্ত্রী।

খরার কারণে আমনের ফলন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “সংগ্রহ ভালো হয়েছে, সরবরাহও ভালো আছে। সর্বশ্রেষ্ঠ মজুদ, এখন প্রায় ১৯ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আমাদের এখনও সংগ্রহ চলছে।“

এত ফলনের পরও কেন দাম কমছে না? এই প্রশ্নের উত্তরে সাধন চন্দ্র বললেন, “আপনি এর থেকে যদি কমের কথা বলেন, তাহলে কৃষকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা মণ ধান কিনতে হবে। মারা পড়বে কৃষক, তখন ধান চালই পাওয়া যাবে না। আমরা যে ধানের দাম নির্ধারণ করেছি, এর থেকে বেশি দামে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করছে। ন্যায্যমূল্যের উপরে দাম পাচ্ছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয় ধান কিনি একটা কারণে, যাতে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের না ঠকায়। আমাদের কাছে না আসুক, বাজারে বেশি মূল্য পাক, দ্যাটস এনাফ।“

পাশে দাঁড়ানো কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তার সঙ্গে যোগ করেন, “আমরা খরচ হিসাব করি, ডিজেল-সার-সেচের কতটুকু খরচ, ধান কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত এক মণ ধানে কত খরচ হলো তার ওপর। আমরা কেজিপ্রতি এক টাকা দুই টাকা বেশি ধরে দাম নির্ধারণ করি। এত ধান বিক্রি হয়েছে, ১৮০০ টাকা মণ পর্যন্ত বাংলাদেশে ধান বিক্রি হয়েছে। এটা ভালো না, কিন্তু হয়েছে। আমনের ফলন ভালো হওয়ার পরও ১২০০-১৩০০ টাকা করে ধানের মণ বিক্রি হয়েছে। কাজেই আমরা কি দাম দিলাম, না দিলাম- আমরা ঠিক করেছি কৃষকের যাতে লাভ হয়, সেটা ধরেই আমরা মূল্য নির্ধারণ করি।”

দেশে কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকছে কি না, সেই প্রশ্ন রেখে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “অতীতে কার্তিক মাসে মঙ্গা হলেও দেশে এখন কোনো খাদ্যসঙ্কট নেই, মঙ্গা নেই।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাইজভাণ্ডারী দর্শন সাম্য ও বিশ্বমানবতার জন্য নিবেদিত
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার