নিখোঁজের ১০ দিন পর মিলল টমটম চালকের মৃতদেহ

টেকনাফ প্রতিনিধি | রবিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে নিখোঁজের ১০ দিন পর মোহাম্মদ (২০) নামের এক টমটম চালকের মৃত উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার সময় হোয়াইক্যংবাহারছড়া এলাকায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। মোহাম্মদ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। পরিবারের বরাত দিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, গত ১২ জানুয়ারি থেকে তার হদিস মিলছিল না।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা অপহরণ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। পাহাড় কেন্দ্রীক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোই মূলত এই আতংকের কারণ।

অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফের গহিন পাহাড়ে আস্তানা গড়ে বাংলাদেশিদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে সন্ত্রাসীরা। সময়ে সময়ে সাধারণ রোহিঙ্গারাও অপহরণের শিকার হচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে অপহৃতদের হত্যার পর লাশ গুম করার অভিযোগও আছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, আগে আশ্রয় কেন্দ্রে মাদক ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেত ১০১৪টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। দেড় বছর আগে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে নিষ্ক্রিয় হয়ে উঠে। অনেকে সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে পাহাড়ে অবস্থান নেয়। অর্থের জোগান পেতে তারা স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে নেমেছে। তাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী হাজারো পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া, জাদিমোড়া, লেদা, আলীখালী, রঙ্গিখালী, পানখালী, মরিচ্চ্যঘোনা এলাকার পরিবারগুলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে রয়েছে। সন্ত্রাসীরা গত এক বছরে ৫০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছে। চাঁদা না পাওয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলায়ন শামসুল হকের মৃত্যুতে দক্ষিণ জেলা আ.লীগের দোয়া মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধসমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ