ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠাতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে জার্মানি। তারা জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে ট্যাংক পাঠায়, তবেই তারা নিজেদের তৈরি ট্যাংক পাঠাবে। জার্মানির অত্যাধুনিক লিওপার্ড–২ ট্যাংক রয়েছে। এই ট্যাংক ইউক্রেনকে দিতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
পোল্যান্ড এবং ফিনল্যান্ড উভয়ই লিওপার্ড পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তা পাঠাতে তাদের জার্মানির অনুমতি দরকার। লিওপার্ড ট্যাংক রপ্তানির ক্ষেত্রে যে কোনও সিদ্ধান্তে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে জার্মানির। তাই ট্যাংক পাঠাতে কোনও নেটো দেশের জার্মানির অনুমতি প্রয়োজন। খবর বিডিনিউজের।
কিন্তু সমপ্রতি কয়েকদিনে শলৎস বেশ কয়েকবারই ইউক্রেনকে ট্যাংক পাঠানোর ক্ষেত্রে শর্তের কথা বলেছেন। বার্লিন এখনও তার সরকারি অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, শলৎস কেবল তখনই লিওপার্ড ট্যাংক পাঠানোর সবুজ সংকেত দেবেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকান আব্রাম ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠান। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কয়েকদিন ধরেই মিত্রদেশগুলোর কাছে ভারী ট্যাংক চেয়ে আসছে ইউক্রেন।