স্বাধীনতার ৫১ বছরের বাংলাদেশে বেড়েছে জনসংখ্যা। দেশে প্রতিবছর বাড়ছে গড় আয়ু আর মাথাপিছু আয় বাড়ছে, বাড়ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার। তবে উদ্বিগ্নের বিষয় পাগলা ঘোড়ার মত ছুটে চলছে বেকারত্বের হার। যা একটি স্বাধীন দেশের উন্নয়নের পথ অন্তরায়। বেকারত্বের অভিশাপে হতাশায় আছন্ন তরুণ – তরুণীরা।
কেউ হতাশা থেকে মুক্তি পেতে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে আবার কেউ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির আশায় আত্মহত্যার মত ঘৃণিত পথ বেছে নেয়। বেকারত্বের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কার? আমাদের দেশে প্রতিটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ৫ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে আর একাডেমির শিক্ষাজীবন শেষ হয় ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সে।
এই দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে হাতে কলমে শেখানো হয় না কর্মমুখী শিক্ষা শিক্ষার্থীরা যখন সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে যায় তখন তারা দেখে চাকরির বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে ৩ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তখন বেকাররা আরও বেশি দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে এত বছরের শিক্ষাজীবনের মূল্য কোথায়?
মরিয়ম জাহান সেতু
শিক্ষার্থী, সৈয়দ আশরাফ পৌর মহিলা কলেজ, কিশোরগঞ্জ।