মাঘের শীতে বাঘের ডাকে পৌষের শীতে ভূত
ছেঁড়া কাঁথায় শীতকে নিয়ে খেলেছি কুত কুত।
কাঁথার ভেতর হিমের ছোঁয়া তাই আসেনি ঘুম
শীত তাড়াতে ছন্দ মিলাই আগড়ুম বাগড়ুম।
শীতল দিনের গীতল হাওয়া পাতা ঝরার ভোর
উঠোন জুড়ে ধোঁয়ার চাদর কাঁবে কখন ঘোর?
নানার বাড়ি পেতাম প্রাতে রসের পুলি, মোয়া
সাঁঝ সকালে ভাঁপা পিঠের ছড়িয়ে যেত ধোঁয়া।
কেতুর চোখে খড় জ্বালিয়ে করতে ধাওয়া শীত
দুর্গা ফটিক গাইতো সবাই সূর্যিমামার গীত।
পুবের আকাশ রাঙিয়ে দিয়ে সূর্য দিলে উঁকি
মাঝ উঠোনে বসত সবাই রোদের মুখোমুখি।
আগের মতো শীতের দেখা কেউ পাবে না খুঁজে
শীতের কাঁথা ঘরের কোণায় থাকে দু’চোখ বুজে
এখন খুঁজি মনের বাগে রোদ পোহাবার দিন
কোথায় গেল দিঘল দিঘি পাই না হদিস–চিন।
মামীরা সব পাল্টে গেছে থাকেন বিষম ব্যস্ত
জিপিএ পাঁচ পেতে সবাই হিসেব কষায় ন্যস্ত
পাউরুটি আর ফরমালিনের কলায় প্রাতরাশ
রসের পুলি করে এখন স্বপ্নে বসবাস।
শীতকে এখন যায় না চেনা কোথায় সে নাম–যশ
মাদার গাছে পটল ধরে খেজুর গাছে কষ।
রসের বদল কষটা গিলে মন করে রঙিন
মনের বাগে খুঁজছি ফিরে রোদ পোহাবার দিন।









