চসিক পেল পাঁচ কোটি ৪২ লাখ টাকা

উন্নয়ন, ডেঙ্গু ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

উন্নয়ন, ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং কোভিড মোকাবিলায় দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৪৬ কোটি আট লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছাড় করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পেয়েছে পাঁচ কোটি ৪২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ছাড়কৃত অর্থের মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়।

 

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ছাড়কৃত অর্থ ব্যয় করা যাবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিস্বাক্ষরিত বিল উপস্থাপনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরিকৃত অর্থের আয়নব্যয়ন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিএ২০০৬ ও পিপিআর২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় বিভাগ থেকে জারিকৃত ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে উন্নয়ন সহায়তার অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০২২’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। অব্যয়িত অর্থ ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে। সাধারণ বরাদ্দ : সাধারণ বরাদ্দ উপখাতের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে দেশের ১১ সিটি কর্পোরেশনের জন্য অবমুক্তি করা হয়েছে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চসিক পেয়েছে চার কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনসমূহের অধিক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য চলতি অর্থ বছরের বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ‘সিটি কর্পোরেশনের জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ খাত এ বরাদ্দকৃত অর্থ হতে সিটি কর্পোরেশনগুলোর আয়তন, জনসংখ্যা, গত অর্থ বছরের রাজস্ব আয় এবং ২০২০২০২১ হতে ২০২১২০২২ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হার বিবেচনায় অনুমোদিত বিভাজন অনুযায়ী অর্থ অবমুক্তি করা হয়।

ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আট কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আট কোটি ৩৬ লাখ টাকা, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এক কোটি আট লাখ টাকা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ৯৭ লাখ টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এক কোটি ২৫ লাখ টাকা, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ৮৯ লাখ টাকা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন চার কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন পেয়েছে এক কোটি ৪১ লাখ টাকা।

কোভিড মোকাবিলা উপখাত : উন্নয়ন সহায়তা খাত এর অধীনে ‘কোভিড১৯ মোকাবেলা’ উপখাত থেকে দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে এককালীন অবমুক্তি করা হয়েছে চার কোটি ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে চসিক পেয়েছে ৪২ লাখ টাকা।

অর্থ ছাড় নিয়ে জারিকৃত অফিস আদেশ অনুযায়ী, সিটি কর্পোরেশনসমূহ অধিক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী অর্থাৎ মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে ছাড়কৃত অর্থ দিয়ে।

এদিকে ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২ লাখ টাকা করে পেয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন পেয়েছে ৩৫ লাখ টাকা করে। এছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪২ লাখ টাকা, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন পেয়েছে ৩৩ লাখ টাকা।

ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্ন উপখাত : সিটি কর্পোরেশনসমূহের অধিক্ষেত্রে ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য চলতি ২০২২২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ‘ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার’ উপখাত থেকে ১১টি সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে এককালীন সাত কোটি ১৮ লাখ ৭৫ টাকা অবমুক্তি করা হয়। এর মধ্যে চসিক পেয়েছে ৫০ লাখ টাকা।

অন্যন্য সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি পেয়েছে দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা। এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন পেয়েছে ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৫০ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাওয়া যায়নি বাকি তিন অংশ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা