পাওয়া যায়নি বাকি তিন অংশ

পিবিআইয়ের তিন ঘণ্টার অভিযান

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ইপিজেডে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশুকন্যা আয়াতের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধারে গতকালও সকাল থেকে একের পর এক তল্লাশি চালিয়ে গেছে পিবিআই। পিবিআইয়ের কাছে খুনি আবির আলী শিশু আয়াতকে খুনের পর কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করার পর থেকে চলছে উদ্ধার অভিযান। ইতোমধ্যে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার আয়াতের দুই পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু গতকাল তিন ঘণ্টার অভিযানেও বাকি তিন অংশ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

 

পিবিআই পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান আজাদীকে জানান, গত ছয় দিন ধরে লাশের অংশ উদ্ধারের জন্য অভিযুক্ত আবিরকে নিয়ে কয়েক দফা অভিযানে যায় পিবিআই। তারপরও লাশের হদিস পাওয়া যায়নি। পিবিআইয়ের ২৫ জনের একটি টিম আবিরের তথ্য মতে গত চারদিন ধরে দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই জায়গায় স্ট্যান্ডবাই ছিল। আবির আলী লাশের তিনটি টুকরো আকমল আলী রোডের সাগর পাড় সংলগ্ন স্লুইসগেটের যেখানে ফেলেছে বলে আমাদের জানিয়েছিল, সেখান থেকে প্যাকেট তিনটি পাওয়া যায়। বাকি তিন অংশের খোঁজে আমরা ঘণ্টা তিনেক সাগর পাড়ে চরাঞ্চল চষে ফেলেছি। কিন্তু পাওয়া যায়নি। তবে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে ইপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার বাসা থেকে আয়াতদের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবির আলী স্বীকার করে মুক্তিপণ দাবির জন্যই সে তার বাড়িওয়ালার নাতনিকে অপহরণ করে। মেয়েটি চিৎকার করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে লাশের তিনটি টুকরো নগরীর আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে বেড়িবাঁধের পর আউটার রিং রোড সংলগ্ন বেটার্মিনাল এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওইদিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে একটি নালায় স্লুইচগেটের প্রবেশমুখে ফেলে দেয় আবির। অভিযানে আয়াতের রক্তমাখা কাপড় ও সেন্ডেল, মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়।

গত ২৮ নভেম্বর রাতে শিশু আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে মরদেহ ছয় টুকরো করে খালেসাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার রহস্য উদঘাটনে অভিযুক্ত আবির আলীর পিতামাতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। মূলত অপহরণ ও খুনের পর মরদেহ ছয় টুকরো করার কারণ বের করতেই পিতামাতাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় পিবিআই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবিকতাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে
পরবর্তী নিবন্ধচসিক পেল পাঁচ কোটি ৪২ লাখ টাকা