সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের সবকিছুতেই পরিবর্তন আসবে

চেম্বারের সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতি করিনি। দেশের উন্নয়নে সবার সঙ্গে কাজ করেছি। চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকারের যে মহাপরিকল্পনা তা বাস্তবায়িত হলে এতদঞ্চলের জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। চট্টগ্রাম চেম্বারের দেয়া সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসককে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. দিদারুল আলম এমপি, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের প্রকাশক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চেম্বার সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী

এমপি বলেন, ভালো মানুষের মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যাতে অন্যরা উৎসাহিত হয়। চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে চেম্বার। এটি অন্যদের ভালো কাজের প্রতি আগ্রহী করবে।

এম এ লতিফ এমপি বলেন, বাজার মনিটরিংয়ে অনেক ছোট ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়। যদি উপযুক্ত ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আমদানি পণ্যের হিসাব রাখা যেত তাহলে এ হয়রানি রোধ করা যেত। তিনি বলেন, অবক্ষয়ের এই সময়ে ভালো মানুষকে মূল্যায়ন না করলে ভালো মানুষ পাওয়া যাবে না। ক্ষমতাবান শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই, কিন্তু ভালো মানুষের অভাব রয়েছে। তাই একজন দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ ও সৎ মানুষকে মূল্যায়নের মাধ্যমে তার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চিটাগাং চেম্বারকে ধন্যবাদ। দিদারুল আলম এমপি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজ করে জেলা প্রশাসন। বর্তমান জেলা প্রশাসক তার সততা ও দক্ষতা দিয়ে সরকারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। আশাকরি ভবিষ্যতেও তিনি এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান চট্টগ্রামকে আপন করে নিয়েছেন, এ অঞ্চলের উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রাণ উজাড় করে। তাঁর নিষ্ঠা ও সততায় আদায় করে নিয়েছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে তার দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

সম্মাননার জবাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবর্তন হওয়ার সময় এসেছে। আমরা আগে কোথায় ছিলাম এখন কোথায় আছি তার সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস ভূমিকার কারণে। আমি সবসময় সরকারের কাজকে জবাবদিহির আওতায় এনে করতে চেষ্টা করেছি।

চেম্বার সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, জেলা প্রশাসন স্বতঃস্ফূর্তভাবে চট্টগ্রাম জেলায় সরকারি সেবা গণমুখীকরণ, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজের উদ্যোগ নিয়েছে যা আমাদের সরকারের গণবান্ধব নীতির প্রতিফলন। চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নের এ মহাযজ্ঞে সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা প্রশাসক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন, শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, মো. ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), বিজিএমইএর পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল মো. সোলায়মান আলম শেঠ, এইচআরসির সিনিয়র পরিচালক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, বিজিএমইএ নেতা মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), মাহফুজুল হক শাহ, আলমগীর পারভেজ ও মো. আবদুল মান্নান সোহেল, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি আবিদা মোস্তফা, মিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মিয়া আবদুর রহিম, নগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান প্রমুখ ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুক্তির ‘বৈষম্যমূলক’ ধারা সংশোধনের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধঅগ্রসর হচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি