চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চল আয়োজিত মাসব্যাপী আয়কর তথ্য সেবা মাসে গতকাল পর্যন্ত ১১১ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬ টাকা কর আদায় হয়েছে। কর আদায়ের বিপরীতে রিটার্ন জমা পড়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮২টি।
আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–১ এ ৪৬ হাজার ৪২৭ রিটার্নের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ৩৯ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৩৭২ টাকা। এছাড়া নতুন ই–টিআইএন নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৯ জন এবং সেবা নিয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৩৫ করদাতা।
কর অঞ্চল–২ এর অধীনে ২৮ হাজার ৪৫৫ টি রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৩ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৮ টাকা। নতুন ই–টিআইএন নিয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং সেবা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৯১৮ করদাতা। কর অঞ্চল–৩ এর অধীনে ৩২ হাজার ৮৫৪টি রিটার্নের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ২২ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৩ টাকা। নতুন ই–টিআইএন নিয়েছেন ২ হাজার ৬৭৪ জন এবং সেবা নিয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৫৩ জন। কর অঞ্চল–৪ এর অধীনে ৩৯ হাজার ১৪৬টি রিটার্নের বিপরীতে ১৬ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৩ টাকা আয়কর জমা হয়েছে। নতুন ই–টিআইএন নিয়েছেন ২ হাজার ৭৩৭ জন এবং সেবা নিয়েছেন ৯০ হাজার ২১২ করদাতা। গতকাল বিকেলে সরেজমিনে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–১, ২, ৩ এবং ৪ ঘুরে দেখা গেছে, আয়করের বুথগুলোতে করদাতাদের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো।
আজ (বুধবার) আয়কর তথ্য সেবার মাসের শেষ দিন হওয়ায় শেষ মূহূর্তে অনেকে রিটার্ন জমা দিতে আসেন। এ সময় কর কর্মকর্তারা তাদের ফরমের বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
কর অঞ্চল–৩ এ আসা করদাতা সগীর হোসেন বলেন, আমি গত ১৫ বছর কর দিয়ে আসছি। করোনার আগে তো মেলাতে গিয়ে কর দিতাম। তবে গত দুই বছর ধরে আয়করের বুথে এসে রিটার্ন দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, আয়কর মেলার আদলে গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় মাসব্যাপী আয়কর তথ্য সেবা মাস। আয়কর বিভাগের চারটি কর অঞ্চলের ৮৮টি সার্কেলের আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান, রিটার্ন ও চালান ফরম সরবরাহসহ আয়কর এবং রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ নিতে পারছেন করদাতারা। এছাড়া ই–টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে নতুন করদাতারা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সাপেক্ষে নতুন ই–টিআইএন নিবন্ধন এবং বর্তমান করদাতারা পুনঃনিবন্ধন নিতেও পারছেন। অন্যদিকে আজ জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে নগরীর সিডিএ আবাসিক এলাকার পেলিক্যান মেহজাবিন ভবনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আয়কর বিভাগ।