কাতারকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডস

২০ বছর পর নকআউট পর্বে সেনেগাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ

গ্রুপ এ থেকে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস আর সেনেগাল। গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিক কাতার এবং ইকুয়েডর। গতকাল মঙ্গলবার একই সময়ে অনুষ্ঠিত দুটি খেলায় নেদারল্যান্ডস ২০ গোলে হারায় কাতারকে। অন্যদিকে সেনেগাল ২১ গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়ে দেয়। নেদারল্যান্ডস শেষ ম্যাচ জয়ে ৩ খেলায় ৭ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বে গেছে। অন্যদিকে আগেই বিদায়

নেওয়া কাতার ঘরের বিশ্বকাপে একটি গোলও করতে পারেনি। তাদের বিদায়টা হলো শূন্য হাতে। গতকালের ম্যাচের প্রথমার্ধে ১০ গোলে এগিয়েছিল নেদারল্যন্ডস। তবে ব্যবধান বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধে বেশি সময় নেয়নি তারা। ৪৯ মিনিটে মেমফিস ডিপের শট কাতারের গোলরক্ষক মেশাল বারশাম ঠেকিয়ে দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ফিরতি বলে কাতারের জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কে ডে জং।

এদিকে বাঁচামরার লড়াইয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলতে নেমে সবটুকু উজাড় করে খেলে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যায় সেনেগাল। তিন খেলায় তাদের পয়েন্ট ৬। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত নকআউট রাউন্ডে জায়গা করে নিল আফ্রিকান দলটি। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধান নিয়েই ২০ বছর পর শেষ ষোলো নিশ্চিত করল আলিয়ু সিসের শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যাচ জয়ের পণ নিয়ে খেলতে নামে সেনেগাল। আগের দুই ম্যাচেই জয় লাভ করা সেনেগাল মাঝমাঠে বলের দখল নিয়ে ইকুয়েডরের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৪২ মিনিটে খেই হারিয়ে ফেলে ইকুয়েডর। ইসমাইল সারকে ডি বঙর ভেতর ফাউল করে বসেন প্রিসাইডো। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে লাইফলাইন পায় সেনেগাল। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইসমাইল সার। এ স্কোর লাইনে বিরতিতে যায় দু’দল। বিরতি থেকে ফিরেই গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইকুয়েডর। ৬৭ মিনিটে ইকুয়েডরের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হয় কাইসেডোর। কর্নার থেকে প্লাটার শটে টোরেসের হেড থেকে ডিবঙের ভেতর বল পেয়েই সেটিকে গোলে পরিণত করেন কাইসেডো। কাইসেডোর গোলের ৩ মিনিট না পেরুতেই ডি বঙের বাইরে ফ্রি কিক পায় সেনেগাল। ইদ্রিস গায়ার ফ্রি কিক থেকে ডি বঙের ভেতর ইকুয়েডরের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল যায় খালি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা কৌলিবালির কাছে। সুযোগ কাজে লাগাতে একদমই দেরি করেননি এই ডিফেন্ডার। গোল করে দলকে ২১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেললেও আর গোল পায়নি ইকুয়েডর। ফলে প্রথম দুই ম্যাচ দুর্দান্ত খেললেও শেষ হাসি আর হাসা হলো না তাদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধদৃষ্টি আজ মেসিদের দিকে