আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে উন্নয়নের উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন বলেই বিএনপির আজকে গাত্রদাহ হয়েছে। তাদের সময়ে পুরো দেশ জুড়ে লুটপাটের মহোৎসব ছিল। জঙ্গিবাদের কারণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ তখন আতঙ্কের নাম ছিল। বিএনপির আমলের সেই জঙ্গিবাদের আতঙ্ক দেশ থেকে মুছে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকে শান্তি আর সমৃদ্ধি-উন্নয়ন আর অগ্রগতির রোল মডেলে পরিণত করেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে-সমৃদ্ধিতে আবাক-বিস্ময়ে পরিণত হয়েছেন। আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে মাঠের বাইরে আরো ১০ দশ গুণ লোকের সমাগম হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যদের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি বলেন, ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপিরা এবং নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের থেকেই চট্টগ্রামে জনসভায় আসার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জনসভায় আসবেন। ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি-বিএনপি জনসভার নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে জনসভা করছে। তাদের ঘুরে ফিরে একই লোক সব জায়গায় যায়। কারণ তাদের প্রতি এই দেশের মানুষের কোনো সমর্থন নেই। তাই একটি জনসভায় একদিন-দুইদিন আগে সারাদেশে থেকে লোক জড়ো করতে হয় তাদের। আমাদেরতে গতকালকের যশোরের জনসভায় আপনারা দেখেছেন-স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কি পরিমান লোজন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী এমপির সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, এম এ লতিফ এমপি, ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, দিদারুল আলম এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী।