চট্টগ্রামর সিটি কর্পোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডের কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়, চট্টগ্রাম রেজিস্ট্রারকে আদালতের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং ওয়ার্ড সমূহের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করেছিলেন।
তাছাড়া কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) সমিতির পক্ষ থেকে বর্তমান কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অনিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশিনও দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। এতদসত্ত্বেও জেলা রেজিস্ট্রার, চট্টগ্রাম বিচারাধীন ও জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের আদেশের চিঠি গোপন রেখে অনিয়মের মাধ্যমে কাজী নিয়োগের জন্য গোপনে জোর অপ-তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে শোনা গেছে।
বিগত ৩০/১০/২২ ইং তারিখ সম্পূর্ণ বিধি ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্যানেল প্রস্তুত করার জন্যও অপচেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ ঐ তারিখে তার দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিভিন্ন প্রার্থী দরখাস্ত প্রদানকারীদের ইন্টারভিউ না নিয়ে প্যানেল পাঠানোর চেষ্টা করে। সম্পূর্ণ গোপনে তার পছন্দের লোকদের নিয়ে প্যানেল প্রস্ততি করার তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে, বঞ্চিত প্রার্থীগণ মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করলে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ও স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
কিস্তু এতকিছুর পরও জেলা রেজিস্ট্রারের অপতৎপরতা থামেনি। তিনি পুনরায় বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া গোপনে তার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। জেলা রেজিস্ট্রার্ড গোপনে কখন কী করে ফেলেন, তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা চরম ও দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন। ভুক্তভোগীরা উচ্চ মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। আমরা দৈনিক আজাদীর মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিহিত ব্যবস্থা করার দাবি জানচ্ছি।
রফিকুল আলম,
জামাল খান, চট্টগ্রাম।