রাঙামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে চারটি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সেতুগুলো উদ্বোধন করেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। সেতু উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটে, এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হয়। বর্তমানে রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। এই সড়ককে ঘিরে আসে পাশে রিসোর্টও তৈরি হচ্ছে। এসব স্থপনা তৈরির ফলে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসছে। এলজিইডি সূত্র থেকে জানা যায়, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে ৪৮, ১২০, ৯৬ ও ৪৮ ফুটের মোট চারটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ঠিকাদার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করেছি, যাতে সেতুগুলোর কাজ সঠিক সময়ে শেষ করা যায়। তারপরও নানা কারণে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। রাঙামাটি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি বলেন, চারটি সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এর ফলে এই এলাকায় পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে। সমপ্রসারিত সড়কে কাজের বিষয়ে প্রকৌশলী জানান, করোনার কারণ, ফান্ডের সমস্যা, ঠিকাদারের কিছু গাফেলতি সবমিলিয়ে মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। কাজে এখন গতি এসেছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ হবে। আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের একপাশে সবুজ পাহাড়। অন্যপাশে কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদ ও পাহাড়ের মেলবন্ধন থাকায় এই সড়কটি দ্রুতই মুগ্ধতা ছড়ায় পর্যটকদের কাছে। পর্যটন সম্ভাবনা থাকায় এই সড়ক ধরে গড়ে ওঠে প্রায় দশটি রিসোর্টসহ অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সেতুগুলো উদ্বোধন হওয়ায় আরও সম্ভাবনার দ্বার খুললো।