শুনো সর্বজনে শুদ্ধ মনে হিন্দু মুসলমান, সোনার বাংলার চাষির দুষকে ফাড়িবে পরান রক্ত করি জল…ওরা ভূমিদাস, মাটির স্বপ্নে বিভোর, ওরা জন্মদাস, কৃষকের দাসত্বের কাল সামন্ত প্রভুদের জাগরণের কাল থেকে শুরু…আমার বেবাক ধান কাইটা নিল মন্ডল; সহ্য না হয় এ ঝুলুম, সহ্য না হয় গতর কাইট্টা ফসল ফলাই তার পুরোটাই তুলিতি হবি জোতদারের গোলায়. এমন অনেক নির্মম নিয়তি মেনে বাংলার কৃষক আর আকাশ দেখার সময় পায়নি। যা আজো বাংলার গ্রামীণ জনপদের ভূমিহীন কৃষকদের প্রতীকী চিত্র। নব্বই দশকের পাবনা জেলের চলনবিল অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে কাব্যনাট্য প্রযোজনা ‘কিষাণকাব্য’ এ তুলে ধরেছেন নির্দেশক সোহেল আনোয়ার।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২ এ বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম মঞ্চায়ন করে কাব্যনাট্য ‘কিষাণকাব্য’। কুশীলবে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ইসমাইল চৌধুরী সোহেল, গৌতম চৌধুরী, বিপ্লব কুমার শীল, সঞ্জয় পাল, অনুপম শীল, পলি ঘোষ, লিমা চৌধুরী, শান্তা সেনগুপ্তা, শুভাগত বড়ুয়া, বিজয় শংকর বড়ুয়া, পূর্ণা দাস, জলিল উল্লাহ, ত্রয়ী দে, এবিএম আলবেরুনী, সুচয়ন সেনগুপ্ত, ছাদেকুর রহমান সবুজ, ঈশা দে, প্রিয়াংকা মল্লিক, শ্রাবণী বড়ুয়া, অনন্যা পাল, সুহিতা দে, শ্যামলী চৌধুরী, বৃষ্টি দেব, মলি দে, সুনিপুন সেনগুপ্ত, সুমিত দে শুভ্র প্রমুখ।
কুশীলবদের পোশাক ভাবনায় আবৃত্তিশিল্পী অরূপ ভট্টাচার্য্য। নাট্যজন মঈনুদ্দীন কোহেলের আবহ পরিকল্পনায় আবহ সঞ্চারে আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী। আলোক প্রক্ষেপণে জুনায়দ ইউসুফ।
তবলায় সঙ্গত করেন উৎপল চন্দ্র নাথ। বিশেষ এ প্রযোজনা সন্ধ্যায় আবৃত্তির তাৎপর্যময় সম্পর্কিত কথামালায় অংশ নেন গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের জাতীয় সংগীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি বিভাগের আহ্বায়ক আজহারুল হক আজাদ, বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি সোহেল আনোয়ার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।