পুলিশ ৭২ ঘন্টা নিরপেক্ষ আচরণ করলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ১০ নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন বিএনপি ও অংগসংগঠনের থানা ও ওয়ার্ডসমূহের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল সোমবার নগরের পাহাড়তলী সাগরিকা স্কয়ারের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারের
সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
সাবেক মন্ত্রী নোমান বলেন, বিএনপির পক্ষে সারা দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির সভা সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতি দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ সময় গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটবে দাবি করে বলেন, গণআন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। গণআন্দোলনে জনগণ বিজয়ী হয় এবং স্বৈরাচারের পতন হয় এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
তিনি বলেন, হামলা, মামলা, গুম ও গুলি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, কারণ এই আন্দোলনে বিএনপির সাথে ব্যাপক হারে দেশের জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।
নোমান বলেন, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মত আওয়ামী লীগ সরকারের বিপর্যয় হবে। এই বিপর্যয় থেকে তারা রক্ষা পাবে না। কারণ জনগণ তাদের সাথে নেই। এই বিপর্যয় থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হচ্ছে অবিলম্বে পদত্যাগ করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেয়া হবে না। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবর্বাচন হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশ থেকে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের সূচনা করা হবে। তিনি সবাইকে সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, যে কোনো মূল্যে চট্টগ্রামের সমাবেশ সফল করতে হবে। চট্টগ্রামের মাটি হচ্ছে খালেদা জিয়ার ঘাঁটি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীন, বিএনপি নেতা শামসুল আলম, এস কে খোদা তোতন, এরশাদ উল্লাহ, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপতি, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টি, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন।