কক্সবাজার প্রতিনিধি ম
নাফ নদীর টেকনাফ পয়েন্টে নাব্যতা সংকটের কারণে বিকল্প পথে সাবরাং থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চালাতে চায় সী-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে।
স্কোয়াব ও টুয়াক নেতারা মনে করেন, বিকল্প পথ হিসেবে টেকনাফের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে পল্টুনসহ অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করা সম্ভব। কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের স্বার্থে প্রয়োজনে নিজেদের খরচে এ অস্থায়ী জেটি ও পল্টুন নির্মাণের প্রস্তাব করেন তারা। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। স্কোয়াব ও টুয়াক নেতারা আরও মনে করেন, টেকনাফের দক্ষিণ প্রান্তে সাবরাং এলাকায় এ অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা গেলে অল্পখরচে ও অল্প সময়ে পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করানো সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সী-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্কোয়াব সভাপতি তোফাইল আহমদ। লিখিত বক্তব্যে হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, অনেক বছর ধরে নাব্যতা সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা জাহাজ পরিচালনা করে এসেছি। তাছাড়া নাফ নদীর কয়েকটি অংশে ডুবো চর জেগেছে কয়েক বছর ধরে। মাঝে মধ্যে ওই সব ডুবো চরে পর্যটকবাহী জাহাজ আটকা পড়ে পর্যটক বিড়ম্বনার অনেক ঘটনা ঘটেছে। যা নেতিবাচক স্মৃতি হয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন,, প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ পর্যটক কঙবাজারে ভ্রমণে আসেন। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পর্যটকেরই চাহিদা রয়েছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের। আর সেন্টমার্টিনের পর্যটনকে কেন্দ্র করে টেকনাফ এবং উখিয়াতেও গড়ে উঠেছে উন্নতমানের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোঁরা। তাতে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করে আসছে। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেয়া সিদ্ধান্তে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা খুবই হতাশাজনক।
সংবাদ সম্মেলনের তথ্য মতে, প্রতিবছর অন্তত ৩ লাখ পর্যটক টেকনাফ থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। সেন্টমার্টিনের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কঙবাজার (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল আনু ও সাধারণ সম্পাদক মুনিবুর রহমান টিটু, সহ-সভাপতি ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক নুরুল আলম রনি, পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তোহা, যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন বিশ্বাস (তুষার), সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম এ কাজল ও আকতার নূর প্রমূখ।












