চাতরী চৌমুহনী বাজারে অধিগ্রহণ নোটিশ, তালিকায় ৪শ স্থাপনা

ছয় লেইনের বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক

আনোয়ারা প্রতিনিধি | সোমবার , ৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ছয় লেইনের বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক বাস্তবায়নে আনোয়ারায় উচ্ছেদ হবে আরো প্রায় ৪০০ স্থাপনা। মূলত ১৬০ ফুটের সড়ক বাস্তবায়নে পকেটল্যান্ড হিসাবে বিভিন্ন স্পটে ছোট আকারে ৭৪০ শতক (৩ হেক্টর) পরিমাণ জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। সে অনুযায়ী গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভূমি মালিকদের বরাবরে সাত ধারায় নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ছয় লেইন প্রকল্পের পরিচালক সুমন সিংহ আজাদীকে বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ চালু হয়ে যাবে শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালা বিবির দীঘি পর্যন্ত ৪ লেনের সড়ক। বাকি ২ লেইন চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে। চার লেইনের সড়কের জন্য নতুন কোনো জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। তবে ৬ লেইন বাস্তবায়নের জন্য কিছু পকেটল্যান্ড অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে।
সওজ সূত্র জানায়, ৪০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় লেনের ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির চার লেনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ছয় লেইনের সড়কটি হবে ১৬০ ফুট। চার লেইনের যে সড়কটির কাজ চলমান রয়েছে তা মূলত ১৯৬৬-৬৭ সালে অধিগ্রহণকৃত জমির উপর বাস্তবায়িত হচ্ছে। আরো ২ লেইন সম্প্রসারণ করার কারণে কিছু অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন হয়েছে। এজন্য ব্যস্ততম চাতরী চৌমুহনী ও বেলচুড়া মৌজায় বেশ কিছু মার্কেট ও দোকান উচ্ছেদ হতে পারে। বিদ্যমান সড়কের পূর্ব পাশে ওয়ান মাবিয়া মার্কেট ও সংযুক্ত আরো কয়েকটি মার্কেটে প্রায় ৪শ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে।
স্থানীয় ভূমি মালিক বাহারুল ইসলাম জানান, চাতরী চৌমুহনী বাজারে বর্তমান সড়কের পূর্ব পাশে মার্কেট ও দোকানগুলোতে প্রায় ২০ ফুট ভাঙা পড়তে পারে। এতে ওয়ান মাবিয়া মার্কেটের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া লাগোয়া অন্য মার্কেটগুলোর বড় অংশ অধিগ্রহণ হবে বলে জানতে পেরেছি।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আকতার হোসেন জানান, ৭ ধারায় নোটিশ প্রদানের পর তারা স্থাপনাসমূহের মূল্য নির্ধারণ কাজ শুরু করেছে। পুরো কাজ শেষ করতে সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে। আবাসিক ও অনাবাসিক দুটি পৃথক রেটে তারা স্থাপনাসমূহের দর নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন। এরপর মৌজা রেট অনুযায়ী জমির মূল্য ও স্থাপনা মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
সওজ জানায়, ছয় লেইন প্রকল্পে অবশিষ্ট জমি অধিগ্রহণে ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। যে কারণে অর্থপ্রাপ্তি নিয়ে জটিলতা নেই। সবকিছু ঠিকভাবে হলে আগামী বছর ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তার আগে এ বছর ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর একই সময়ে ৪ লেইনের রাস্তা খুলে দেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকদিন ম্যানেজ করতে পারলেই পাঁচ দিনের ছুটি
পরবর্তী নিবন্ধজুমে ভালো ফলন, চলছে ধান কাটার উৎসব