এক জায়গা তিনবারও বন্ধক দিয়েছিলেন তিনি। একই জমি তিন ব্যাংকের কাছে দিয়ে ঋণ নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। মানুষকে ব্যবসার অংশীদার করার কথা বলেও হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। বিভিন্ন ব্যাংক এবং মানুষের পাওনা টাকা মেরে দিয়ে গা ঢাকা দেন তিনি। নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে রুজু করা হয় একের পর এক মামলা। অবশেষে গত শনিবার মধ্যরাতে নগরীর খুলশী আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে সাজাপ্রাপ্ত ঋণ খেলাপি পলাতক আসামি রণিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হালিশহর এবং সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ জানিয়েছে, সীতাকুণ্ডের মাদামবিবির হাট এলাকাস্থ শহিদুল ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম রণি গত বেশ কয়েক বছর যাবত ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিচ্ছিলেন। একটি জায়গা একাধিক ব্যাংকের নিকট বন্ধক রাখার ঘটনাও তিনি ঘটিয়েছেন। মাদামবিবির হাট এলাকার জাহানাবাদ গ্রামের হোসেন মুন্সি বাড়ির জনৈক শামসুল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম রণি সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও ব্যবসার অংশীদার করার কথা বলে টাকা ঋণ নেন। এস্কেভেটর ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মালামাল বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা লোপাট করে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। পাওনাদারেরা দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন ব্যাংকও তার পেছনে বহুদিন ধরে ধর্ণা দিচ্ছিল। কিন্তু টাকা না পেয়ে ব্যাংকগুলো একের পর এক মামলা করতে থাকে। এরমধ্যে যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারী শাখার ১ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঋণের জন্য একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আদালত রণিকে এক বছরের সাজা এবং ১ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত এই পলাতক আসামি আত্মগোপনে চলে যান। কোনভাবেই তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেউ। অবশেষে গত মধ্যরাতে হালিশহর থানার একটি দল নগরীর খুলশী আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ৯টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলেও জানিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।