নগরীর যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেশি

জানাল আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি দল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:২৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বেশ কিছু স্পটকে (এলাকা) ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল। চিহ্নিত এসব স্পটের মধ্যে আগ্রাবাদ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা, হালিশহর, সিডিএ আবাসিক এলাকা, ডবলমুরিং ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ আরো বেশ কিছু এলাকা রয়েছে। এসব স্পটে বেশি মাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। যার কারণে এসব এলাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকিও বেশি বলে অভিমত দিয়েছে আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল। দলটি গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম গতকাল আজাদীকে বলেন, আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল আমাদের কিছু স্পট দিয়েছে। এসব স্পটে তারা সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর লার্ভা পেয়েছে। এজন্য স্পটগুলোতে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেশি বলেও তারা আমাদের জানিয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বৃহস্পতিবারই (গতকাল) বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। উচ্ছেদ চালিয়ে ওই এলাকা থেকে সব পরিত্যক্ত টায়ার ও সরঞ্জাম নিয়ে এসেছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশা নিধনে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তা ভর করে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগে। এর প্রেক্ষিতে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করে সিভিল সার্জন কার্যালয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর স্বাক্ষরে গত ১২ সেপ্টেম্বর এ চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) চার সদস্যের একটি টিম চট্টগ্রামে আসে। গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকেই তারা কাজ শুরু করে।
আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি দলটি গতকাল নমুনা সংগ্রহসহ তাদের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি বলেন, তারা কাজ শেষ করেছেন। আর কাজ শেষে শুক্রবার (আজ) সকালে তারা ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতে দলটি সিভিল সার্জনের সাথে দেখা করে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য বা পর্যবেক্ষণ অবহিত করার কথা। আর ঢাকায় ফিরে গিয়ে প্রতিনিধি দলটির এ (ডেঙ্গু পরিস্থিতি) সংক্রান্ত লিখিত প্রতিবেদন পাঠানোর কথা রয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে আমরা চিন্তিত। যদিও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছিলাম। আর মশক নিধন বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটি সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। সিটি কর্পোরেশনকেও আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি। তবে এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
জানতে চাইলে মশক নিধনে স্প্রে ও ফগার মেশিন দিয়ে সব জায়গায় নিয়মিত কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে দাবি করে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, যেসব এলাকায় এডিস মশার লার্ভা মিলেছে, সেসব এলাকায় জোর অভিযান চালানো হবে। এছাড়া জনসাধারণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমূল ফটকে তালা দিলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
পরবর্তী নিবন্ধপ্লাস্টিক বর্জ্য থেকে ভাগ্য বদল অর্ধলাখ মানুষের