সীতাকুণ্ডে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত যুবক মেহরাজ ভূঁইয়া (২২) ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত মেহরাজ উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নডালিয়া গ্রামের হুমায়ুন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের শ্যামলী পলিটেকনিকেল কলেজের অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য। এদিকে মেহরাজকে তার বন্ধুরা মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে পরিবার।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে করে পতেঙ্গা নেভাল থেকে বাড়ি ফিরছিল মেহরাজ। রাত সাড়ে ১০টায় ফৌজদারহাটস্থ শুকতারা পার্ক অতিক্রমকালে হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে মহাসড়কের মাঝখানে পড়ে যায় মেহেরাজ। এসময় পেছনে থাকা লরির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় সে। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করে তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত মেহরাজের বাবা হুমাযুন ভূঁইয়া জানান, মেহরাজকে তার বন্ধুরা চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাকের নিচে ফেলে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করেছে। দুর্ঘটনার পর বেশকিছু প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় হত্যার বিষয়টি সামনে এসেছে। দাফন শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি হত্যা মামলা দায়ের করবেন।












