চট্টগ্রামের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

কাঞ্চনা চক্রবর্তী | রবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামের রয়েছে স্বতন্ত্র ও সমৃদ্ধ লোকজ সংস্কৃতি। আর এই লোকজ সংস্কৃতি বিশ্বদরবারে গৌরবের আসন লাভ করেছে। যেকোনো লোক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস এবং ভাষা – সাহিত্য, আচার-আচরণ, জীবন যাপন প্রণালী ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে সেই এলাকার সংস্কৃতি । আর লোক সম্প্রদায়ের ধর্ম, আচার – বিশ্বাস, সংস্কার, ব্রত, উৎসব এইসব এক পুরুষ থেকে উত্তর পুরুষে, মন থেকে মনান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে হাজার বছর ধরে পুষ্ট হয়ে রূপ নেয় লোকজ ঐতিহ্য। মূলত লোকসংস্কৃতির হাত ধরে সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে লোকজ ঐতিহ্য নতুন নতুন শাখা-প্রশাখায় পত্র পল্লবে সুশোভিত হয়।
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদের প্রাচুর্যের হাতছানিতে এ দেশে ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসতি স্থাপনের কারণে যেই জনগোষ্ঠী এসে বসতি স্থাপন করেছে তাদেরই হাত ধরে চট্টগ্রামে লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গোড়াপত্তন ঘটেছে। চট্টগ্রামের আদি জনগোষ্ঠীর সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতীয়- ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সংমিশ্রণ ‘চট্টগ্রামী’ বা ‘চাটগাঁইয়া’’ নামে একটি মিশ্র শংকর জনগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। একটি অঞ্চলের দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি সেই অঞ্চলের মানুষের প্রকৃত পরিচয় বহন করে। যেকোনো জনগোষ্ঠীর মূল শিকড় প্রথিত থাকে তার লোকজ ঐতিহ্যে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দৈহিক গঠনে অন্য অঞ্চলের বাঙালিদের সাথে মিল থাকলেও সাংস্কৃতিক চরিত্রে চট্টগ্রামের মানুষ বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। যা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী, স্বতন্ত্র আর অভিনব। চট্টগ্রামের ভাষাও অন্য অঞ্চলের ভাষার চেয়ে সম্পূর্ণরূপে আলাদা।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের লোকসংস্কৃতি প্রায় এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশে বসবাসরত ৩২ টি নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশ চট্টগ্রামে বসবাস করে। এই বৃহত্তর নৃ-গোষ্ঠীর লোকসংস্কৃতি বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ।
দীর্ঘ সংগ্রাম ও মিশ্র সংস্কৃতির সংমিশ্রণ চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে তুলেছে। যা সহজেই অন্য অঞ্চলের মানুষ থেকে আলাদা করে চিনতে কোনো অসুবিধাই হয় না। বরং সহজে তাদেরকে চিনিয়ে দেয়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা তার সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই অঞ্চলের মানুষের কথন ও উচ্চারণের দ্রুততা বিশিষ্ট আঞ্চলিক ভাষা, অতিথি পরায়ণতা, পুঁথি সাহিত্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি, পূজা পার্বণের আধিক্য, লৌকিক বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ইত্যাদি লোকজ ঐতিহ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বহমান।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, পল্লীগীতি, মাইজভাণ্ডারী গান, নববর্ষের হালখাতা, ঈদ উৎসব, মহরম, দুর্গা পূজা, মাঘী পূর্ণিমা, বারুণী স্নানমেলা, সীতাকুণ্ডের ও আদিনাথের শিবচতুর্দশী মেলা, পটিয়ার ক্ষেত্রপাল মেলা, চৈত্র সংক্রান্তি, বৈশাখী মেলা, ঐতিহ্যবাহী মেজবান, শুক্লা অম্বর দিঘির মেলা এবং মেধস মুনির মেলা ইত্যাদি চট্টগ্রামের লোকজ ঐতিহ্যের অংশ।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বৈচিত্র্যময় ভাষা, পোশাক, গয়না, খাদ্যাভ্যাস, বৈশাখী উৎসব, জলখেলা, বৈসাবি উৎসব, ফানুস উড্ডয়নসহ অসংখ্য নাম জানা-অজানা সংস্কৃতি সারা বছরব্যাপী বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হয়। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি তারা ধারণ করে ও সংরক্ষণ করে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও অভিনবত্ব এবং বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত সংস্কৃতি হল খাবার ও খাদ্যাভ্যাস। এই অঞ্চলের মানুষ আতপ চালের ভাত খায়, শুটকি মাছ (সামুদ্রিক ও স্বাদু পানির), মহেশখালীর পান, বেলা বিস্কিট ও রং চা ইত্যাদি গভীর মমতায় ধারণ করে। মেজবানের গরুর মাংসের কালো ভুনা, মধু ভাত, ফেলন ডাল, আফলাতুন হালুয়া, নোনা ইলিশ বিখ্যাত খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। চট্টগ্রামের লাভ লেইনে কক্সবাজারের মহেশখালীর মিষ্টি পানের সঙ্গে দেওয়া হয় ২০০ বছর আগের রেসিপি। সম্রাট আকবরও সেই আমলের উচ্চ বংশীয়রা কস্তুরী মিশ্রিত বাহারি মসল্লায় বানানো পান খেত। কালের বিবর্তনে বর্তমানে সেই রেসিপির পান ‘বাহার পান’’ নামে প্রসিদ্ধ।
ভাষা হিসেবে ‘চাটগাঁইয়া’ ভাষা বেশ সমৃদ্ধ, সংক্ষেপিত ও শ্রুতিমধুর। তবে উচ্চারণে দ্রুততা বিশিষ্ট। এই অঞ্চলের ভাষার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, অনেক বাক্য একটি মাত্র বর্ণে প্রকাশ করা যায়। যা অন্য কোনো ভাষায় নেই। যেমন, হ (তুমি খেয়ে নাও), গ ( তুমি গান গাও)। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সমালোচক বুদ্ধদেব বসু বলেছেন, ‘আর কোথাও শুনিনি ঐ ডাক, ঐ ভাষা, ঐ উচ্চারণ উচ্চারণের ভঙ্গি। বাংলার দক্ষিণ -পূর্ব সীমান্তের ভাষা বৈশিষ্ট্য বিস্ময়কর। চাটগাঁর যেটা খাঁটি ভাষা, তাকে তো বাংলায় বলা যায় না। ‘চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত হয়েছে অসংখ্য গান যা নিজ অঞ্চল ছাড়িয়ে আজ বিশ্ব সমাদৃত। সংগীত, নৃত্য, নাটক, যাত্রাপালা, কবি গান, লোকসংগীত এর চর্চা এই অঞ্চলকে করেছে সমৃদ্ধ।
চট্টগ্রামের সুলতানি এবং মোগল আমলের বেশ কয়েকটি বড় বড় দিঘি রয়েছে। এর মধ্যে পরাগল খাঁর দিঘি, ছুটি খাঁর দিঘি, নসরত বাদশার দিঘি, আলাওলের দিঘি, মজলিস বিবির দিঘি, আসকার খাঁর দিঘি, লাল দিঘি এবং ভেলুয়ার দিঘি উল্লেখযোগ্য। দিঘিগুলি হিন্দু, মুসলমান ও বৌদ্ধদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত।
চট্টগ্রামের সাম্পান একটি ঐতিহ্যবাহী নাম। এই সাম্পানকে নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা, কাব্যগাথা আর সিনেমা। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের সাথে সাম্পান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী সাম্পান উৎসব।
চট্টগ্রামের লোকজ সংস্কৃতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিয়ে। এই অঞ্চলের হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম সম্প্রদায়ের বিয়ে শাদী ও শুভ কাজের অভিন্ন কিছু প্রথা রয়েছে। এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের বিয়ে-শাদী, শুভ ও মঙ্গল কাজের অভিন্ন অনুষঙ্গ এবং মাঙ্গলিক প্রতীক মঙ্গল ঘট ও বরণকুলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
চট্টগ্রামের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে লোক সংগীতের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রামের লোকগানের প্রাচীন শাখা নির্ণয়ের জন্য চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সুপ্রাচীন কাল থেকেই চট্টগ্রামে চর্যাগীতির প্রচলন ছিল। চর্যাকারদের মধ্যে অষ্টম-দশম শতকের চাটিলপাদ, টেণ্ডনপাদ, হাঁড়িপাদের নাম উল্লেখযোগ্য। চৈতন্য যুগে বিশেষ করে শ্রীচৈতন্যের পর্ষদ হাটহাজারীর মেঘল নিবাসী পুনরীক বিদ্যানিধি চট্টগ্রামে কীর্তন গানকে ছড়িয়ে দেন। একই সময়ে মুকুন্দ দত্ত নামে আর একজন চট্টগ্রামী কীর্তনীয়ার নাম শোনা যায়। যাঁর কীর্তন শ্রীচৈতন্য স্বয়ং মুগ্ধ বিস্ময়ে শুনতেন। মধ্যযুগে চট্টগ্রামের গ্রাম সমাজে রাগ সঙ্গীতের প্রচলন ছিল। বিভিন্ন সঙ্গীত শাস্ত্রকারের লেখনীতে এসব রাগ সঙ্গীত পুঁথি আকারে বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ এ ধরনের ১৯ টি রাগনামা ও ১৩ টি রাগতাল নামা, পুঁথি, ড. এনামুল হক রাগতাল সম্পর্কীয় কয়েকটি পুঁথি চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন। যা আমাদের ঐতিহ্যের ফসল। (চট্টগ্রাম অতীত ও ঐতিহ্য, তৌফিকুল ইসলাম, পৃষ্ঠা, ১১৮)
চট্টগ্রামের লোকজ সংস্কৃতির ভাণ্ডারে চর্যাপদ, বৌদ্ধদোঁহা, পুঁথি নির্ভর রাগ যেন এক একটি রত্ন। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে কিচ্ছা, পালাগান, গাজীর গান, বারোমাসি গান, হঁওলা, বিয়ের গান, ফলপাট গান, হালদাফাটা গান, মারফতী গান আমাদের ঐতিহ্যের বিশাল অংশ দখল করে আছে।
চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য আরেকটি লোকজ সংস্কৃতি গ্রামাঞ্চলে পুঁথি পাঠ। সনাতন ধর্মীয় জনগণের শ্রাবণ মাসে মনসা পূজার সময় মনসা পুঁথি পাঠ ও দুর্গা পুজোর সময় জাগরণ পুঁথি পাঠ অনেক বছরের ঐতিহ্য। মনসা পুঁথি শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই শুরু হয় আর মাসের শেষ দিনে শেষ হয় । একই পাড়ায় বিশেষত নারীরা মিলেমিশে একসাথে সুর করে এই পুঁথি পাঠ করে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের কোনো কোনো নিভৃত পল্লীতে নিয়মিত বসে পুঁথি পাঠের আসর এবং কবি গানের জলসা। যাকে কবিয়াল গানও বলা হয়। চট্টগ্রামে লোকসাহিত্যের প্রধান উপাদান পুঁথি সাহিত্য নিয়ে আজীবন গবেষণা, সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করেছেন আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ। চট্টগ্রামে লোকসাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ এবং উপমহাদেশের ঐতিহ্যের অগ্রগামী। সমৃদ্ধ লোকসাহিত্যে লোকনাট্য, ছড়া, গীতিকবিতা, লোককাহিনী, মন্ত্র, প্রবাদ প্রবচন, মঙ্গলকাব্য, পদাবলী, ধর্মীয় সাহিত্য, প্রেম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। লোকবিশেষজ্ঞ ড. আহমদ শরীফ বলেন, ‘মধ্যযুগে মুসলমানদের রচনা বলতে প্রায় সবটাই তো চট্টগ্রামের দান এমনকি চট্টগ্রামের হিন্দুদের দান ও বাংলাদেশের যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে কম নয়।’ ( চট্টগ্রাম অতীত ঐতিহ্য পৃষ্ঠা নম্বর ১১৯)
চট্টগ্রামের লোক সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল প্রাচীন গ্রামীণ ছড়া ও খনার বচন। যেগুলি কথা ও ছন্দে সহজ, সরল ও সাবলীল। এগুলির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল ভাষা, বিষয় ও বর্ণনায় লোক বিশ্বাস, আচার অনুষ্ঠানে ঋদ্ধ এবং ঐতিহ্যাশ্রয়ী। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত এই ছড়াগুলি লোক মুখে মুখে বহুল প্রচলিত। ছড়াগুলি সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অনুষঙ্গ। যা বংশ পরস্পরায় ঐতিহ্য রূপে আজও টিকে আছে। যদিও কালের বিবর্তনে অনেক ছড়া বিলুপ্তপ্রায়। চট্টগ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সম্পদ ও প্রাচুর্যের অধিকারী, আর এই কারণে এই অঞ্চলের মানুষ উদার এবং তারা অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। তারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এবং অতিথি আপ্যায়নে মনের আনন্দে মুখে মুখে ছড়া আবৃত্তি করত। যা আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের বিরাট অংশ দখল করে আছে।
চট্টগ্রামের লোকশিল্প যেমন- মৃৎ শিল্প, মাটির হাড়ি পাতিল, পুতুল কারুকাজ, বাঁশ ও বেতশিল্প, শীতলপাটি, তালপাতার হাতপাখা ও কাপড়ের নকশি করা হাতপাখা, আসবাবপত্র, নকশি লাঠি, কাঠের তৈরি সাম্পান, নৌকা, কাঠের মূর্তি ও খোদাই করা বিভিন্ন দ্রব্য, পালকি প্রভৃতি ঐতিহ্যের ধারক।
চট্টগ্রামের খেলাধুলা প্রাচীন কাল থেকে আজকের প্রযুক্তির যুগেও ঐতিহ্য ধারণ করে আছে। খেলাধুলার মধ্যে বলি খেলা, গরুর লড়াই, হাডুডু, চিঁচিঁ, পড় খেলা, কড়িখেলা, ডাংগুলি খেলা, দড়িলাফ খেলা, এচকি মেচকি, কাইমের দাড়া, বাঘ- পাইর খেলা, চোখ বাঁন্দা খেলা, কুলুক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, গুটি মার্বেল খেলা, এক্কাদোক্কা, নৌকা বাইচ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকজ ঐতিহ্যের চর্চা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধি করেছে শুধু তাই নয় ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করেছে। তাই নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে আরো নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত ও যুক্ত করে এই ভাণ্ডারকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই সমৃদ্ধ ভাণ্ডারের চর্চা, সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই সমৃদ্ধ ভাণ্ডার থেকে নিজেদের শিকড় কতটা সুদৃঢ় ছিল তা সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
তথ্যসূত্র : ১) চট্টগ্রাম অতীত ও ঐতিহ্য- তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ২)চট্টগ্রামের লোকগান – শামসুল আরেফিন, ৩) উইকিপিডিয়া।
লেখক: প্রাবন্ধিক; বিভাগীয় প্রধান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ,
নিজামপুর সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালকার বিয়ে হইব মনু মিয়ার সাথেরে
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা ভাবনা ও চট্টগ্রামের শিক্ষাচিত্র