গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে, সরকারি ও বেসরকারি সহায়তায়, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ চালু করেন। প্রথম থেকেই সারা দেশে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা থাকলে, এযাবৎ ১৩ হাজার ৮ শত ৮১টি ক্লিনিক স্থাপন ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করতে সক্ষম হয়েছে। এবং সরকার আশাবাদী যে, ২০২২ সালের মধ্যে বাকি প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করতে পারবে। গত এপ্রিল মাসে কমিউনিটি ক্লিনিক এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান’। সেই কমিউনিটি ক্লিনিক কতটুকু জনকল্যাণমুখী, সে বিষয়ে সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি প্রদানের সময় এসেছে।
বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মচারীদের পেশাগত জ্ঞান, দায়িত্ব ও কর্তব্যজ্ঞান প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, শুধু তা নয়, তাদের অফিশিয়াল সময়সূচির ব্যাপারেও রয়েছে যথেষ্ট উদাসীনতা। এ বিষয়ে, সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসতে হবে, যাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান আরো বেগবান হয়। অন্যথায়, জনবল সংকট ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিয়োজিত কর্মচারীরা সাধারণ সেবা প্রত্যাশীদের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নিচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
আসহাবে কাহাফ
পটিয়া উপজেলা,
চট্টগ্রাম।