চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন রুটে বিভিন্ন বাস চলাচল করে থাকে। বাসের নির্ধারিত ভাড়া ও বাস নং উল্লেখ করে দেওয়া থাকে। কোন বাস কোন রুটে চলবে এবং যাত্রীর দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত। নির্ধারিত ভাড়া দিয়েই যাত্রী বাসে যাতায়াত করে থাকেন। চট্টগ্রাম ‘বন্দর নগরী’ হওয়ায় সকালে এবং বিকালে চাপ বেশি পড়ে পাবলিক বাসগুলোতে। এ সময়ে মানুষেরও উপচে পড়া ভিড় থাকে নিয়মিত। কোনোমতে, দাঁড়ানো গেলেই উঠে পড়েন কর্মস্থলে যেতে কিংবা কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরতে। এই সময়টাতে তীব্র যানজট হয়ে থাকে। বিশেষ করে, বিকাল ৬টার পর আগ্রাবাদ-কালুরঘাট ১০ নং বাস, আগ্রাবাদ- কোতোয়ালী ৬ নং বাস, অলংকার – কোতোয়ালী রোডের ৭ নং বাসগুলো ভাড়া নৈরাজ্যে মেতে উঠে। যাত্রীদের জিম্মি করে হেল্পারগণ খেয়াল খুশি মতো ভাড়া নিয়ে থাকেন। এছাড়াও নিউ মার্কেট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী ৩ নং বাস ভাড়া নৈরাজ্যের চরম শিকড়ে। এদের বিশাল সিন্ডিকেট। সন্ধ্যে সাতটার পর ৩নং বাস আর ফতেয়াবাদ পর্যন্ত ১০টাকার নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী তুলেন না। তারা মুরাদপুর – হাটহাজারী ৪০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী নিতে সবগুলো বাস এক দাবি নিয়ে বন্ধ করে রাখে। অথচ, ৩নং বাসের শেষ গন্তব্যস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাতে ফতেয়াবাদ পর্যন্ত। সন্ধ্যার পরবর্তী সময়ে যাত্রী বেশি থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ার লোভে সিন্ডিকেট করে ৩নং বাসগুলো যাত্রী নেওয়া থেকে বিরত থাকে। জনসাধারণের স্বার্থে নগরীর সকল লোকাল বাসের ভাড়া নৈরাজ্য রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ অতীব জরুরি।
আজিজুল হক
শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।