শেখ রাসেল চ্যালেঞ্জ কাপ অনূর্ধ্ব-১১ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে কোয়ালিটি স্কুল অব ক্রিকেট এবং ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমি। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে কোয়ালিটি স্কুল অব ক্রিকেট ৬ উইকেটে উদীয়মান ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে। একই মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শেষ ওভারে দারুন এক ছক্কা মেরে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২ উইকেটে জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমিকে পরাজিত করে ফাইনালে শামিল হয়। আজ অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা উদীয়মান ক্রিকেট একাডেমি নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করে তফাজ্জল হোসেন। এছাড়া বাধন মজুমদার ১৬ এবং নাহিদুল ১০ বলে করে ১৩ রান। তবে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। দলের ৮ জন ব্যাটসম্যান যেতে পারেনি দুই অংকের ঘরে। কোয়ালিটি স্কুল অব ক্রিকেটের পক্ষে সোহেল ২১ রানে নিয়েছে ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছে প্রাঞ্জল এবং আবদুল্লা আল সায়িদ। একটি উইকেট নিয়েছে সাকিব আল হাসান। ১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সোহেলের অপরাজিত অর্ধ শতকের উপর ভর করে মাত্র ১৩.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়। সে সাথে ফাইনাল নিশ্চিত করে। সোহেল ২১ বলে ৪টি চার এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকে। এছাড়া ওপেনার হামিম আহমেদ ৩৩ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকে। আরেক ওপেনার বাহাউদ্দিন করেছে ১১ রান। উদীয়মান ক্রিকেট একাডেমির পক্ষে ২২ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছে আবদুল্লাহ নুর। একটি উইকেট নিয়েছে নাহিদুল ইসলাম। বিজয়ী দলের মোঃ সোহেল ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সিজেকেএস নির্বাহি সদস্য প্রদীপ ভট্টচার্য। দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমি নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের বড় স্কোর দাড় করায়। দলের পক্ষে ২৯ বলে ২টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ রান করে। এছাড়া ওপেনার ইশরাক ১৭ বলে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ রান করে। অর্ঘ্য চৌধুরী করে ২১ রান এবং তাসনিমের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমির পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছে নাইমুর এবং আরশাদুল হক। একটি করে উইকেট নিয়েছে রাহুল এবং আকিবুল। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ব্রাদার্স একাডেমির শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৭ রানের। পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেওয়ার পাশাপাশি ফাইনালেও তুলে দেয় নাইমুর ইসলাম। এছাড়া দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে আওসাফ খান ৩৫ বলে ৩০, আরশাদুল হক ৩৬ বলে ৬টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ এবং মিফতাহুল আলম ১৩ বলে করে ১৮ রান। অতিরিক্ত থেকে আসে ৩১ রান। জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমির পক্ষে ৩ টি উইকেট নিয়েছে আওনান রহিম। একটি করে উইকেট নিয়েছে তাসনিম এবং অভিজিত ঘোষ। বিজয়ী দলের আরশাদুল হক ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার।