নগরীর পাহাড়তলীতে গৃহবধূ রেহনুমা ফেরদৌস মিতুলের লাশ উদ্ধারের মামলায় স্বামী নওশাদুল আমিন জামিন পেয়েছেন। তিনি ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন কালুর ছেলে।
গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে তার পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদনটি করেন। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জামিন চেয়ে করা আবেদন বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত নওশাদুল আমিনের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২ জুলাই পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়া ওয়ার্ডের পদ্মা পুকুর পাড়ে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাড়ি থেকে তার পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌস মিতুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বলা হয় মিতুল আত্মহত্যা করেছেন। মিতুল ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমের বড় ভাই তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে। চার বছর আগে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নওশাদের সঙ্গে মিতুলের বিয়ে হয়। দুই বছর আট মাস বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে তাদের। এ ঘটনায় মিতুলের বাবা তারেক ইমতিয়াজ মেয়ের স্বামী ও তার শাশুড়িকে আসামি করে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচণার’ অভিযোগে মামলাটি করেন। আদা্যলতসূত্র আরো জানায়, ঘটনার পরদিন নওশাদুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন।












