রাঙ্গুনিয়ার চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভান্ডারী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তোতা মিয়া ওরফে তোতাইয়্যা দীর্ঘ সাত বছর পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে। গত শনিবার ঢাকা তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের বাইশ্যার ডেবা গ্রামের আবু ছালেহ ওরফে বুইল্ল্যার ছেলে।
গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভান্ডারী হত্যা মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই একপর্যায়ে জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তোতা মিয়াকে ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তোতা মিয়া ঘটনার পর থেকে সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন। এমনকি বেশ পাল্টে সপরিবারে ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামালের দেওয়া তথ্য অনুসারে বেশ কয়েক মাসের নজরদারির পর তোতা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুর ভান্ডারীকে মারধরের পর গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ মামলার রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।












