আরো বাড়ল জোয়ারের পানি

নামতেও লেগেছে ৪ ঘণ্টা, নগরবাসীর চরম ভোগান্তি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কোনো ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়াই টানা তৃতীয় দিনের মতো জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর নিচু এলাকা। এ সময় এ সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে এবার আগের দুইদিনের তুলনায় জোয়ারের পানির উচ্চতা ও চাপ বেশি ছিল। এ ছাড়া পানি নামতেও ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। গতকাল দুপুর থেকে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ আশপাশের নগরীর নিচু এলাকা হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানির চাপে চাক্তাই- খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের অনেক আড়তে পানি প্রবেশ করে। এতে নষ্ট হয়ে যায় অনেক পণ্য। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ছাড়াও জোয়ারের পানির চাপ বেশি ছিল বাকলিয়ায়ও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, চাক্তাইয়ের সোবহান সওদাগর রোড, চালপট্টি, ড্রাম পট্টি, রাজাখালী রোড, পূর্ব বাকলিয়া, ইসমাইল ফয়েজ রোড, আবু জহুর রোড, মিয়া খান নগর মাদ্রাসা রোড, চাঁন মিয়া লেন, বাইদ্দার টেক, ইছহাকের পুল, তক্তার পুল, পাথরঘাটা আশরাফ আলী রোড, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পুরনো ভবনের সামনে এবং আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার নিচু এলাকা।
বাকলিয়ার ইছহাকের পুল এলাকার বাসিন্দা মো. সৈয়দ আলম বলেন, গত তিন ধরে জোয়ারের পানিতে কষ্টে আছি। আসলে আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখার কেউ নাই।
বাকলিয়া মিয়াখান নগরের বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, দুপুরে ঘরে জোয়ারের পানি ঢুকে। এতে রান্না করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের ভাগ্য ভালো বৃষ্টি ছিল না।
চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উল্লাহ বলেন, চাক্তাইয়ের যত রাইচ মিলস রয়েছে তার বেশিরভাগই সোবহান সওদাগরের রোডে। এই রোড জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। গত দুইদিনের তুলনায় আজকে (গতকাল) পানির উচ্চতাও বেশি ছিল। এতে অনেক দোকান-গুদামে পানি প্রবেশ করেছে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, জোয়ারের পানি ঠেকাতে ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে দোকান গুদামের প্রবেশমুখ ও তলা উঁচু করেন। তারপরেও ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভাসছে ভোগ্যপণ্য। প্রতিবছর আমরা কেবল আমরা আশার বাণী শুনি। সামনের বর্ষায় জোয়ারে পানিতে ডুববে না চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। দেখা যায়, শেষ পর্যন্ত অবস্থার পরিবর্তন হয় না। এই পরিস্থিতিতে আমরা সিডিএ’র স্লুইচ গেট নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।

অপরদিকে আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ারের পানি নিয়ে আসলে নতুন করে কিছু বলার নাই। আজকে (গতকাল) জোয়ারের পানির চাপ খুব বেশি ছিল। সাধারণত জোয়ারের পানি দুই ঘণ্টার মধ্যে নেমে যেত, কিন্তু এবার পানি নেমেছে প্রায় ৪ ঘণ্টায়। এই দীর্ঘ সময় নিচু এলাকার বসবাসরতদের কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত বছর আত্মগোপনে, যাবজ্জীবন মামলার আসামি তোতাইয়্যা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধবেদনার্ত হৃদয়ে লেখা স্মৃতিকথা