ঘুম ভেঙে জেগে উঠি।
সদ্যফোটা জবার মত এগিয়ে যাই
প্রলয়ের দিকে।
ভোর ভোর প্রলয় ঘটে আকাশ বীণায়।
প্রলয় ঘটে ঘুঙুরের শব্দে।
প্রলয় ঘটে সুখের সবুজে।
প্রলয় ঘটে নিরালা অন্দরে।
প্রলয়ে প্রলয়ে জবার মত মৃত্যু ফোটে
হৃদয়ের বন্দরে বন্দরে।
ঘুমন্ত নীলিমায় চোখের তলে সকাল ফোটে।
শরতের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে কুলুকুলু বয়ে যায়
ইচ্ছার স্রোত।
প্রভুর করতলে জ্বলে ওঠে আতুঁড়ের পিদিম।
হৃদয়ের দেউলে সচকিত হয় সূর্য কুসুম।
কামনারা বেড়াতে আসে দেহের সাজানো বারান্দায়।
কখনো তারা সংযমী হয়
আর কখনো অবাধ্য রাহুর মত গিলে খায়
পিদিমের সবটুকু আলো।
প্রলয়ের প্রপাত ধেয়ে যায় ভূগর্ভের অতলে।
সমস্ত বন্দীরা,
বন্দী হয়ে থাকা ইচ্ছারা, অভিমানেরা,
অসম্মানের বাহুবন্দীহয়ে থাকা
ধড়ফড়িয়ে ওঠা ভালোবাসারা,
নিপাত যায় প্রপাতে।
ঘুমভাঙ্গার পর,
জানালার ফোঁকল গলে অবমুক্ত হয়
আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখা এক নিষ্পেষিত দেহের
অদৃশ্য বাষ্পায়িত প্রাণ। রোজ রোজ!