ভাড়া ডাকাতি বন্ধের দাবি

| মঙ্গলবার , ২৬ জুলাই, ২০২২ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিভাগ বা জেলা শহরের, মফঃস্বল শহর অর্থাৎ নগরের বাইরে গণপরিবহন বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবনা না থাকায় রিকশা, অটো রিকশ, সিএনজি, টেম্পো, ভটভটিও গণপরিবহণ বা বিকল্প গণপরিবহণ হয়ে উঠেছে। এসব গণপরিবহণে নতুন করে নির্ধারিত বাস-ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় আটকানোর সব রকমের চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছে। ডিজেলচালিত হোক বা না হোক সব বাসেই নবনির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে যাত্রীদের কাছ থেকে। সম্প্রতি খণ্ডকালীন চিত্রে অর্থাৎ ঈদের দোহায় দিয়েও ভাড়া বেশি আদায় করছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে ভাড়া সমন্বয় করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। নতুন এ ভাড়া শুধু ডিজেলচালিত বাসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু সিএনজি চালিত গাড়িতেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নেই কোনো সুনির্দিষ্ট তদারকি। অনুরূপভাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িসহ প্রতিটি রুটে এ ভাড়া নৈরাজ্য চলছে। দেশের এক জেলা থেকে অপর জেলায় চলাচলকারী গণপরিবহনগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চিত্র অব্যাহত আছে এখনো। রেলে টিকিট কালোবাজারি, অনলাইনে টিকিট পেতে বিড়ম্বনাসহ নানা কারণে যাত্রী সাধারণের হাতে টিকিট পৌঁছাতে নির্ধারিত মূল্যের তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলাদেশ? তা দেখার অপেক্ষায় আছে আপামর জনসাধারণ।
তারেক আল মুনতাছির
শিক্ষার্থী,
এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি : আমাদের ঐতিহ্য
পরবর্তী নিবন্ধমোহিতলাল মজুমদার : কবি ও সাহিত্য সমালোচক