ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ট্রাকের চাপায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারী মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সড়কেই সন্তানের জন্ম দিয়ে গেছেন। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে পৌর শহরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ও আরেক সন্তানও মারা যায়। নিহতরা হলেন উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) ও মেয়ে সানজিদা খাতুন (৬)। খবর বিডিনিউজের।
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জাহাঙ্গীর আলম অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। সঙ্গে তাদের মেয়ে সানজিদাও ছিল। খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে তিনজনেই ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। এই অবস্থায় রাস্তাতেই সন্তানের জন্ম দেন রত্না। তারপরই তিনি মারা যান।
পাশেই পড়েছিল স্বামী জাহাঙ্গীরের মরদেহ। লোকজন তখন নবজাতক ও ছয় বছরের মেয়ে সানজিদাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রওনা দেয়। কিন্তু পথে সানজিদাও মারা যায়। নবজাতকটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখান থেকে তাকে চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক জানান, সানজিদা নামের শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আর সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়ে সন্তানটির একটি হাত ভেঙে গেছে।
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, দুর্ঘটনার সময় ভূমিষ্ট হওয়া নবজাতকটি সুস্থ আছে। ট্রাকটি জব্দ করা সম্ভব হলেও চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।