পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশীদের তত্ত্বাবধানে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ঈদ-উল-আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা মাতৃ মনিজ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
৪০টির বেশী দেশের প্রায় ৮ হাজার মানুষ এই জামাতে অংশগ্রহণ করে যার সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার লিসবন পর্তুগাল (বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ) এবং মাতৃ মনিজ জামে মসজিদ।
তাছাড়া লিসবনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের তত্ত্বাবধানে রোমার খেলার মাঠে ১টি, বাণিজ্যিক নগরী পোর্তোয় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে মেট্রো ত্রিনিদাদ স্কয়ারে একটি, পর্যটন নগরী আলগার্ভ, কাশকাইশ, কোইমব্রা, আমাদোরা, মিল ফন্টেস, ফারো, দামাইয়ায় ১টি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত সহ।
বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টার বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা আবু সায়িদ ঈদ-উল-আজহার জামাত ও খুতবা পরিচালনা করেন। নামাজের পূর্বে ঈদ-উল-আজহার তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন মাতৃ মনিজ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলা উদ্দিন।
পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সহ এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসলিম কমিউনিটির মানুষ ঈদ জামাতে অংশ নেন।
উপস্থিত মুসল্লিরা এমন সুশৃঙ্খল জামাত আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটি সহ লিসবন সিটি করপোরেশন, স্থানীয় জোন্তা সান্তা মারিয়া মায়র এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিন জানান, পর্তুগালে প্রায় ৬০ হাজার মুসলমানের বসবাস এবং বাংলাদেশীদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৮ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পর্তুগাল তথা ইউরোপের সর্ব বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে লিসবনে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা কোলাকুলি বা মুসাফা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। লিসবনের বাংলাদেশীদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পাজামা-পাঞ্জাবিতে ঈদের ময়দানের দিকে ছুটে চলা যেন বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দেয় পর্তুগালের প্রবাসী বাংলাদেশীদের। স্থানীয় মাতৃ মনিজ পার্ক প্রবাসের বুকে যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ হয়ে উঠে তখন।
জামাত শেষে মাতৃ মনিজ জামে মসজিদের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জহিরুল আলম জসিম, সি আর সি আই পিটির সভাপতি আবু নাঈম মু শহীদুল্লা, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এমন সুশৃঙ্খল জামাত আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটি সহ লিসবন সিটি করপোরেশন, স্থানীয় জোন্তা সান্তা মারিয়া মায়র এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।