আয় বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে স্ট্যাম্পের শুল্কহার ব্যাপক হারে বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে এবারের বাজেটে। দীর্ঘদিন পর অনেক কাজে ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টাকা ধার ও প্রতিশ্রুতিসহ বিভিন্ন ধরনের চুক্তি, এফিডেভিট, বিক্রয় দলিল, বিবাহ বিচ্ছেদ, বীমা পলিসি, সংঘস্মারক সই, আমমোক্তার নামা দলিল (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি), পুরস্কার, বিভিন্ন ধরনের বিল বিনিময়, আমদানি বিল, বন্ড, সনদের মত কাজে ব্যবহার করা স্ট্যাম্পের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবকালে তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে এনবিআর বহির্ভূত কর রাজস্ব একটি উল্লেখযোগ্য খাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার এনবিআর বহির্ভূত খাত হতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। স্ট্যাম্প শুল্ক এনবিআর বহির্ভূত কর রাজস্ব আহরণের অন্যতম উৎস।
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট, ১৮৯৯ সালের বর্ণিত শুল্কহার ১৯৭৩ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো ও কমানো হয়। তবে স্ট্যাম্প আইনে উল্লেখ করা শুল্কহার খুবই অপ্রতুল। এজন্য বাস্তবতার নিরিখে সময়োপযোগী করতে ওই আইনের ধারা-৩০ এবং তফসিল-১ সংশোধনের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় বাড়বে এবং স্ট্যাম্প শুল্কহার বাস্তবভিত্তিক হবে বলে যুক্তি তার।