পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে না হওয়ায় গানের কলিতে নিজের দুঃখবোধ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সংসদে পদ্মা সেতু নিয়ে এক সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রীর নামে করার প্রস্তাব পুনরায় দেন তিনি; যদিও ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া এই সেতুর নামের সরকারি সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। খবর বিডিনিউজের। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এখনও বলছি, পদ্মা সেতুর নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে করা হোক। না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকব। এ সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা তার সমর্থনে টেবিল চাপড়ান। তবে সংসদ কক্ষে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ইশারা করে কাদেরকে থামতে বলেন। তখন কাদের ‘এখন আর কী করব?’ বলেই মান্না দে’র গানের শরণ নিয়ে বলেন, যদি কাগজে লিখো নাম, কাগজ ছিঁড়ে যাবে/পাথরে লিখো নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে/ হৃদয়ে লিখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে।
দক্ষিণ জনপদের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার দাবি ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
নানা অঙ্গন থেকে তাতে সমর্থনও আসে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাতে সায় দেননি। পরে সেতু বিভাগ এই সেতুর নাম ‘পদ্মা সেতু’ ঘোষণা করে গেজেটও প্রকাশ করে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা। পদ্মা সেতুকে ‘সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাশের প্রতীক’ এবং ‘অপমানের প্রতিশোধ’ হিসেবে বর্ণনা করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উদ্বোধনের দিন হেঁটে পারাপারের সুযোগ : পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন কিছু সময়ের জন্য পায়ে হেঁটে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া হতে পারে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাড়ি চলবে পরদিন সকাল থেকে। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, বৃহত্তর ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জের নেতা-কর্মী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।










