১০ কর্মীকে হারাল ফায়ার সার্ভিস, নিখোঁজ ২

কেমিক্যালের জন্য আগুন নেভানো যাচ্ছে না : ফায়ারের ডিজি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ জুন, ২০২২ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মী সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরো ২ জন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে মালিকপক্ষের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন। তিনি ফায়ার সার্ভিসের নিহত ১০ কর্মীসহ হতাহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর এ ডিপোর মালিকপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মালিকপক্ষের সহায়তা পেলে আগুন নিভানো অনেক সহজ হতো। বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, কন্টেনার ডিপোর মালিককে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের না পাওয়ায় এখানে কোন কন্টেনারে কী আছে তা আমরা জানতে পারছি না। মালিকপক্ষকে পেলে কন্টেনারে কী ধরনের পণ্য আছে, দাহ্য পণ্য কিংবা কেমিক্যাল কোথায় আছে তা বুঝতে পারতাম। এতে আগুন নিভানো কিংবা প্ল্যান করা সহজ হতো।

তিনি আরো বলেন, এই কন্টেনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅঙাইড ছিল। কিছু সময় পরপর এখনো বিস্ফোরণ হচ্ছে। আমি পরিদর্শনকালে ছয়টি বিস্ফোরণ দেখেছি। কেমিক্যালের জন্য আগুন নেভানো যাচ্ছে না।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, একেক ধরনের কেমিক্যালের ধরন একেক রকম। ধরন জানা নেই বলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। মালিককে খুঁজে পেলে কেমিক্যাল অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হতো।

পানি দিয়ে এ কেমিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার মাইন উদ্দিন বলেন, সম্ভব হতো, তবে বিস্ফোরণ হচ্ছে। বিস্ফোরণের জন্য ফায়ার ফাইটাররা কন্টেনারগুলোর কাছে যেতে পারছেন না। শনিবার রাতেও আমরা ফোম ব্যবহার করেছি, ফোম টেন্ডার এখানে রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যথেষ্ট প্রতিকূল হওয়ায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী সবচেয়ে বড় গাড়িটি অনেকটা উড়ে যায়। এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট বিএম কন্টেনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে ডিজি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের যত ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধকোন হাসপাতালে কতজন ভর্তি