চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও মহানগরীতে দুই ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে আগামী ২০ মে থেকে শুরু হবে সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায়। এই ৬টি উপজেলায় ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত চলবে হালনাগাদ কার্যক্রম। এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন (ছবি তোলা) কার্যক্রম।
দ্বিতীয় ধাপে চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, মীরসরাই, হাটহাজারী, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি ও বাঁশখালী উপজেলায় হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে জুনে। শেষ হবে আগস্টে। দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪১ ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে। নগরীতে হালনাগাদ শেষ হবে ১৮ অক্টোবর। ছবিসহ নিবন্ধনের কাজ চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের ৬টি উপজেলায় ৯ জুন পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন কার্যক্রম। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জুলাই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে সীতাকুণ্ড উপজেলায়। সন্দ্বীপে ৮ জুলাই, কর্ণফুলীতে ১৪ জুলাই, লোহাগাড়ায় ৬ জুলাই, পটিয়ায় ২৪ জুলাই ও আনোয়ারায় ৮ জুলাই। প্রথম ধাপে একইসঙ্গে কঙবাজারের মহেশখালী, রামু, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রাঙামাটির রাঙামাটি সদর ও বান্দরবান সদর উপজেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে দ্বিতীয় ধাপে চন্দনাইশ উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ২৭ জুন থেকে। চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। ছবি তোলা ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে ২৭ জুলাই থেকে। চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। বোয়ালখালী উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১৮ জুন। চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। ছবি তোলা ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ১৭ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রাউজান উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১৮ জুন। চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। ছবি তোলা ও রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১২ জুলাই থেকে। চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ২ জুলাই থেকে। চলবে ২২ জুলাই পর্যন্ত। ছবি তোলা ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ২৬ জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মীরসরাই উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১৭ জুন থেকে। চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। ছবি তোলাসহ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ১২ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। হাটহাজারী উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১৮ জুন থেকে। চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ১২ জুলাই থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।
সাতকানিয়া উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ২৬ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। ফটিকছড়ি উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন চলবে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাঁশখালী উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। ছবিসহ রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলবে ২৭ আগস্ট থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে। শেষ হবে ৩ অক্টোবর। ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে ৩১ আগস্ট থেকে। শেষ হবে ২০ নভেম্বর।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজাদীকে বলেন, ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের ছয়টি উপজেলায় হালনাগাদ কার্যক্রম চালানো হবে। পরবর্তী ধাপে বাকি ৯টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চলবে।
তিনি জানান, এবার ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদের তথ্যও নেওয়া হবে। পরে বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন ২০২৪ ও ২০২৫ সালে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইসি নিয়োজিত কর্মীরা তথ্য নেয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ দিয়ে এবং ছবি তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
ভোটার হওয়ার জন্য আগ্রহীদের লাগবে অনলাইন জন্মনিবন্ধন ফটোকপি, পিতা/মাতার আইডি ফটোকপি, স্বামী/স্ত্রীর আইডি ফটোকপি, ভাই/বোনের আইডি ফটোকপি, শিক্ষা সনদের ফটোকপি, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার কপি, হোল্ডিং ট্যাঙ রসিদের ফটোকপি, জমির দলিলের ফটোকপি ও বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই সময় একসঙ্গে তিন বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।