কল্পনা সমপ্রতি গাড়ি চালানো শিখে নিলে অনেকেই জিজ্ঞেস করে গাড়ি চালানো শিখেেছা? হ্যাঁ শিখলাম। কার কাছে? মানে কে শেখায়? একজন ড্রাইভার, আচ্ছা উনি ছেলে না কি মেয়ে? ছেলে। গায়ে হাত লাগে না? কল্পনা মুচকি হেসে উত্তর দেয়, না উনি পাশে বসেই ডিরেকশন দেয়। তবে মাঝে – মধ্যে স্টিয়ারিং ঘুরানোর সময় আমার হাত স্টিয়ারিং এ থাকে বলে একটু লাগে বৈকি!
হুমমমমম!
কল্পনা তখন ভাবতে বসে, আরে!
ষখন অসুখ হয় ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তার আমার মুখে, বুকে, শরীরে হাত দিয়ে চেক করেন। মুখের কথায়তো চিকিৎসা হয় না। তখন পুরুষ ডাক্তার আর মহিলা ডাক্তার এসব ভাববার সময় কোথায়?
যখন আমি স্কুলে পড়া পারতাম না তখন শিক্ষক আমায় মারতো কখনো বেত দিয়ে কখনো হাত দিয়ে। কিংবা যখন অভিমানে, কষ্টে ক্লাসের এক কোণে বসে কাঁদতাম। শিক্ষক এসে তখন মাথায় হাত বুলাতেন, পিঠে আদর মাখা হাত রাখতেন। যখন কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে যায় এই যেমন আগুন লাগা, পানিতে পড়ে যাওয়া, কিংবা এক্সিডেন্টে রাস্তায় পড়ে থাকা।
তখনও কিন্তু পুরুষ এসেই জড়িয়ে ধরে নিয়ে যায় কোনো হাসপাতালে কিংবা নিরাপদ জায়গায়। আসলে সমাজের তথাকথিত সমাজ ব্যবস্থা এখনো নারী পুরুষ নিয়ে মাতামাতি করেই চলে। প্রয়োজন বুঝে না। সময়ের প্রয়োজনে নারী পুরুষ কখনো ভেদ হয় না। নারী পুরুষ ভেদ হবে, হবে না কেন? তবে তা মূল্যবোধে। বাকিটা দৃষ্টিভঙ্গিতে।
লেখক : শিক্ষক