জীবন

শেলী হারিস | মঙ্গলবার , ১০ মে, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

মানুষের জীবন অদ্ভুত এক গতিতে চলে। কখনো ভালো, কখনো মন্দ, কখনো মাঝামাঝি। একাধারে সুখ মিলেনা, আরার একাধারে দুঃখও থাকেনা। নইলে দুঃখ না থাকলে সুখের অস্‌ত্িবত্বই থাকতোনা। প্রাচীনকাল থেকে যখন সমাজ সৃষ্টি হয়েছে,তখন থেকেই কিছু ধনীক শ্রেণী, কিছু বিত্তহীন মানুষ ছিলো। বংশপরম্পরায় দেখা যায় কোন একটি জেনারেশন বেশ ভালোই কাটিয়েছে পরবর্তী জেনারেশন তেমনটা পারেনি। ধনী গরীবের এই চিরন্তন রূপরেখা নির্ধারণ করা কঠিন। সমাজের সব মানুষ এক নয়। তাদের মধ্যে যেমন ত্যাগী আছেন, আবার ভোগীও আছে।

তবে বেশিরভাগ মানুষ সহায় সম্পত্তির ব্যাপারে বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক। তারা তাদের আত্মীয়- পরিজন, বন্ধু, কাউকেই সেখান থেকে ভাগ দেবার প্রস্তুত নয়। এটা মানুষের হয়তো স্বভাবগত বৈশিষ্ট।

আবার অনেকে স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য, হসপিটাল তৈরীর জন্য অবাধে দান করেন। তবে সকলেইতো দানবীর হাজী মোহাম্মাদ মহসীন হন না। আমাদের ছাত্রজীবনে অনেক বন্ধু বা বান্ধবী আমার দেখা অবস্থানের চাইতে অনেক বেশি ভালো আছেন, কেউ কেউ সেটা পারেনি। সবার মেধা, যোগ্যতা, সুযোগ একরকম নয়। যারা ভালো আছেন তাদের অনেকের ধারণা যারা জীবনে শৌর্যবীর্য অর্জন করতে পারেনি তারা হয়তো হীনম্মন্যতায় ভোগে, তাদের ঈর্ষা করে।

আসলেই কী তাই? নিকটজনদের একেকটা অর্জন মনে যে আনন্দের স্ফুর্তি ঘটে তা কজনে বোঝে? সম্পদের আধিক্য মানুষের মনে এক ধরনের অহম সৃষ্টি করে। তাই যাকে তাকে যা ইচ্ছা বলার অধিকারটা একান্ত নিজের বলে ভাবে। মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে এক প্রকার বিজাতীয় আনন্দলাভ করে। সময় কখনো কারো একরকম থাকে না। সেটা কখনো কখনো বদলে যায় পাশার গুটির মতো।
লেখক : শিক্ষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধআষাঢ় রাতের মুখ
পরবর্তী নিবন্ধসময়ের প্রয়োজনে নারী পুরুষ কখনো ভেদ হয় না