কক্সবাজারের চকরিয়ায় তৃতীয় দফায় ভূমিসহ স্থায়ী ঘর পাচ্ছে ২৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। অন্যদিকে পেকুয়ায় পাচ্ছে আরো ৪০টি পরিবার। নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে থাকা এসব বাড়ি আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে চকরিয়া-পেকুয়ার ভূমিহীন ২৯০ পরিবার ঈদ করার সুযোগ পাবে নিজেদের নতুন ঘরে।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানে সারাদেশে নির্মাণাধীন তৃতীয় দফায় উপহারের বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উপকারভোগী পরিবারগুলোর মাঝে হস্তান্তর করবেন। এদিন চকরিয়ার ২৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার উঠবে উপহারের বাড়িতে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এবার চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৫০টি, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ১৩৮টি এবং সাহারবিল ইউনিয়নে ৫৪টি এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ৮টিসহ তৃতীয় পর্যায়ে ২৫০ পরিবার পাবে নতুন বাড়ি। পূর্ব বড় ভেওলার উপকারভোগী আনারকলি জলদাস দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার বা স্বামীর এক টুকরো জায়গা ছিল না, যেখানে স্থায়ী বাড়ি নির্মাণ করব। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জায়গাসহ স্থায়ী পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এজন্য আমি এবং পরিবারের সবাই খুশি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলার ২৫০ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে নতুন বাড়ি। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাও থাকবে। এজন্য দ্রুতগতিতে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, খাস জায়গায় স্থায়ী আধা পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে ইতোপূর্বে দুই দফায় চকরিয়ার ৪৩০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
পেকুয়া : পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘরেই এবার ঈদের আনন্দ করবেন পেকুয়ার ৪০টি পরিবার। ঘরগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত করার পর ইতিমধ্যে উপকারভোগী ৪০ পরিবারের হাতে ঘরের চাবিও তোলে দেয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা জানান, পেকুয়ায় ইতিমধ্যে ভূমিহীন ৪০ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের নামে ২ শতক করে জমি রেজিস্ট্রির কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মিত বাড়িগুলোতে রয়েছে দুটি বেডরুম, একটি বারান্দা, সংযুক্ত বাথরুম ও রান্নাঘর। নিরাপদ পানির জন্য বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ, দেয়া হয়েছে বিদ্যুত সংযোগ। কিছুদিন আগেও যারা জরাঝীর্ণ পলিথিন মোড়ানো ঘরে বসবাস করতো তারা এখন সেমিপাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা।
রাজাখালী সুন্দরী পাড়া এলাকার জেলে ফয়েজ আহমেদ, আবু সালেক ও রুপিয়া বেগমসহ বেশ কয়েকজন উপকারভোগী জানান, এবারের ঈদটি আমাদের জীবনের একটি সেরা ঈদ হবে। কেননা আমরা জীবনের এই প্রথম নিজেদের নতুন বাড়িতে ঈদ করব।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে খাস জায়গায় স্থায়ী বাড়ি তৈরি করে দেওয়াটা নজিরবিহীন। যা আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। চকরিয়া ও পেকুয়ার অসংখ্য ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।












