রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আটতলা রানা প্লাজা ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন; প্রাণে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় আরও হাজারখানেক গার্মেন্ট শ্রমিককে। বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়ে যাওয়া সেই ঘটনার দিনই সাভার থানায় দুটি মামলা হয়। পরের বছর দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করে আরেকটি মামলা। তবে সেসব মামলায় এতদিনে কেবল মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ কাটিয়ে মাস তিনেক আগে শুরু হয় এ মামলার বিচার। গত ১১ এপ্রিল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপ পরিদর্শক ওয়ালী আশরাফের সাক্ষ্য শেষ হয়। আগামী ২৯ মে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ইকরামুল হক, শিউলি আক্তারসহ পাঁচজনকে পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করছেন এ আদালতের অতিরিক্ত কৌসুলি বিমল সমাদ্দার। আর আসামি পক্ষে প্রধান আইনজীবী হিসেবে লড়ছেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। আইনজীবী ফারুক এ মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানার হয়ে মামলার শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। মামলার বিচার করছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া।
গত ৩১ জানুয়ারি মামলার বাদী ওয়ালী আশরাফ এ আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর দ্বিতীয় দিবসে সাক্ষ্যগ্রহণে প্রধান আসামি সোহেল রানাকে কারাগার থেকে আদালতে না আনায় কারা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।