দুই পক্ষের আকস্মিক উত্তেজনায় ছুরিকাঘাতে কিশোর ফাহিমকে খুন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

নগরীর পাহাড়তলীতে মেলায় ধাক্কাধাক্কি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকস্মিক উত্তেজনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন কিশোর শাহরিয়ার নাজিম জয় ওরফে ফাহিম (১৫)। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দামপাড়ার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান পুলিশ।

এই ঘটনায় পুলিশ ছুরিকাঘাতকারী ১৪ বছরের এক কিশোরকে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার কিশোর হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানা শাহপুর গ্রামের মো. আলীর ছেলে সজল। সে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বারকোয়ার্টার এলাকায় থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় স্থানীয়ভাবে আয়োজিত একটি মেলায় ধাক্কাধাক্কির মতো ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মীমাংসার কথা বলে উভয় পক্ষই একটি জায়গায় জড়ো হয়। সেখানে দুই পক্ষের আকস্মিক উত্তেজনায় এই ছুরিকাঘাতে ঘটনা ঘটেছে।

গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ফাহিম তাঁর বন্ধু অভির সঙ্গে হালিশহরে ঈদ বস্ত্র মেলাতে যায়। এ সময় অভির সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করেন অজ্ঞাতরা। তখন অভি ফোন করে তাঁর বন্ধুদের বিষয়টি জানালে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় পাহাড়তলী থানাধীন ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মোড়ে দুই পক্ষই মীমাংসার জন্য জড়ো হয়। প্রতিপক্ষের অন্তত ১০ / ১২ জন সেখানে উপস্থিত ছিল।

উভয় পক্ষের কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তেজনা থেকে সজল ছুরি বের করে ফাহিম ও তাঁর বন্ধু জয়নাল আবেদীন ইমনকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরে দু’জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার (১৭ এপ্রিল) নিহত কিশোরের বাবা মো. জহির বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত সোমবার ভোরে পুলিশ সজলকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে পাহাড়তলী থানাধীন সরাইপাড়া এলাকায় তাঁর বন্ধু রাজুর বাসা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ মোট দুটি ছুরি জব্দ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিমি সুপার মার্কেটে বেশি দামে কাপড় বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু