জেনেছি স্থাপত্যবিদ্যা শেখো নি কখনও
অপূর্ব একটি মানচিত্র সাজাতে কেবল
ভালোবাসা আলিঙ্গন করে ডাক দিলে,
টেকনাফ-তেঁতুলিয়া ভেঙে ছুটে এলো
দ্বিধাহীন বিদ্রোহী তরুণ যুবকের দল
নিস্তব্ধ শহর-গ্রাম আলোড়িত হলো!
যমুনার উত্তাল ঢেউয়ে
তীব্র টান অনুভব করল পেশিতে
নাওয়ের মাঝি নুরু মিয়া,
ধল পহরের আগে পৌঁছতে হবে ওপাড়ে।
আজানের ভায়োলিন, মন্দির-গির্জার
ঘন্টাধ্বনি পাখিদের শব্দমালা,
ঢউয়ের শব্দে মিলে যাচ্ছে
নীড় ছেড়ে ঝাঁকে-ঝাঁকে উড়ে যাচ্ছে পাখিসব।
সূর্যালোকে রক্তাভ উত্তাল ঢেউ
কুয়াশার পর্দা ছিঁড়ে নুরু মিয়া দেখে
নদীপাড়ে সারি বেঁধে সদ্যভোরে দাঁড়িয়ে
হাজার নরনারী, চোখে-মুখে সজল আনন্দ শিহরণ
ছেলে ফিরে এলো বলে নয়মাস নয়দিন পর!
তুমি এলে আরো কিছুদিন পর
আবার রক্তাক্ত হয়ে ফিরে গেলে!
ছোপ-ছোপ রক্ত এখানে-ওখানে আজও
সিঁড়ি বেয়ে যাচ্ছে নেমে প্রস্তর-জমিনে;
সংঘাতে ধুসর রুগ্ন তোমার সাজানো মানচিত্র
অপলক আমাদের চোখ, অবরুদ্ধ কন্ঠস্বর।
তুমি কি দেখছো পিতা শতবর্ষ পর!