এই কবিতা আমি লিখিনি;
যারা রক্ত দিয়ে কষ্ট সয়ে লাল-সবুজ পতাকার অংশ
তাদের হৃদয় নিংড়ানো আকুতি বিন্যস্ত করেছি মাত্র!
বজ্রকণ্ঠ মন্ত্র মনে, বুকে তরঙ্গিত ঢেউ, মুখে জয় বাংলা
গুলি, সেল, মেশিনগান, মুক্তির শপথ
আর বাংকারে বাংকারে বিনিদ্র রজনী সঙ্গী
মহান যাত্রায় ঘর-ভিটে ছেড়ে সম্পূর্ণ অজানা পথে…
কী খায়, যা পায়!
দিন নাই রাত নাই, সতর্ক নজর, ভুল হলেই মাশুল, মৃত্যু।
গর্ভধারিণী মা করুণ হাসিমুখে দিয়েছে বিদায়;
যাও বাছা যাও, মুক্তি চাই, স্বাধীনতা দাও
স্বদেশ জননীর অশ্রু মোছাতে বিসর্জন দিয়েছে মায়া…
চোখ মুছে মুছে বাষ্পরুদ্ধকণ্ঠে যে নির্দেশ রক্তকোষে
স্বপ্ন, আশা আর ভালোবাসাই একান্ত সম্বল
যে মুক্তির রক্তবীজ রোপন করেছে পাঁজরে;
তার শস্য নিয়ে হাসিমুখে ঘরে ফেরার বাসনা,
নয় বাংলার মাটিতে চিরতরে মিশে যাবে…
প্রতিশোধের আগুনে নির্মিত হবে স্বতন্ত্র মানচিত্র
আমার সোনার বাংলা।
ভালোবাসা অপরাধ হানাদারের কাছে, শাস্তি মৃত্যুদণ্ড!
কিন্তু জীবনবাজি রেখে জন্মভূমির জন্য ভালোবাসা
আমৃত্যু অহংকার!
পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকা মানেই তো জীবন্মৃত!
যে আশায় ঘরছাড়া, তার দীপ্যমান ছবি চোখে
উজ্জ্বল প্রভাত হবে, সমস্বরে গান হবে;
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি…