নগরীর হালিশহরে রেলওয়ের সিজিপিওয়াই (চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ড) লোকোশেডে বিভিন্ন সময়ে হওয়া তেল চুরি, দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক। বিভিন্ন সময় প্রাপ্ত অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
এ সময় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রেলওয়ে কতৃপক্ষকে সুপারিশ করলে তাৎক্ষণিক খালাসি জিয়াউল হক নামের একজনকে বরখাস্ত এবং ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন নামের দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর নেতৃত্বেই অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্যাঙ্কার ওয়াগন তেল চুরি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, সিজিপ ওয়াই চৌকি, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সদস্যের দীর্ঘদিন যাবৎ একই কর্মস্থলে অবস্থানপূর্বক বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ ও তথ্য ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় আমরা অভিযান পরিচালনা করলে অভিযোগের সত্যতা পায়। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ের চীফ ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান সাথে সাথে তেল চুরির দায়ে একজনকে বরখাস্ত ও দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, সিজিপিওয়াই চৌকি চট্টগ্রামের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী একই কর্মস্থলে দীর্ঘ দিন যাবৎ পোস্টিংয়ে থেকে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনায় সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় চট্টগ্রাম রেলওয়ের চীফ কমান্ডেন্ট জহিরুল ইসলাম দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে আমাদের এনফোর্সমেন্ট টিমকে জানিয়েছেন।
দুদক কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, লোকোশেডে স্টকে থাকলেও অনেক সময় কম দেখিয়ে আবার অনেক সময় একেবারে স্টক খালি দেখিয়ে চাহিদা অনুযায়ী তেল নিতো নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২০২১ সালের মে মাসেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তখন ২০২৪ লিটার তেল মজুদ থাকলেও চাহিদার কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক আবু সাঈদ আজাদীকে বলেন, এ বিষয়ে মামলা করতে অনুমতি চাওয়া হবে।