বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির হেডম্যানরা ১৯০০ সনের হিলট্র্যাক্ট বিধিমালা পুনর্বহালের দাবিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বোমাং সার্কেলের মৌজা হেডম্যানরা ১৯০০ সনের হিলট্র্যাক্ট বিধিমালা পুনর্বহালের দাবিতে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে হেডম্যান এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিভিন্ন মৌজার হেডম্যানরা জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিকে এই স্মারকলিপি দেন।
এসোসিয়েশনের সভাপতি হেডম্যান দ হ্লাথোয়াই হৃ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীসমূহকে বিশেষ সূযোগ-সুবিধা প্রদানসহ এদের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সনাতনী রীতি-প্রথাসমূহ সংরক্ষণের জন্য ১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনটি প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু ২০০৩ সনে তৎকালীন সামপ্রদায়িক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে হাইকোর্ট মামলাটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সনে আপীল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে ১৯০০ সনের রেগুলেশনকে বৈধ ও কার্যকর ঘোষণা করেন। কিন্তু সম্প্রতি আইনটি আবারও আপীল বিভাগে রিভিউর জন্য উত্থিত হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষরা শঙ্কার মধ্যে পড়েছে। তাই পাহাড়ী জনগোষ্ঠীসমূহকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ এদের ঐতিহ্য ও প্রথা সমূহ সংরক্ষণের জন্য আইনটি বলবৎ রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। এ সময় জেলা হেডম্যান কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি হেডম্যান দ হ্লাথোয়াই হৃ, সাধারণ সম্পাদক হেডম্যান উনিহ্লা মারমা, যুগ্ম সম্পাদক মুংনুচিং মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, হিলট্র্যাক্টস বিধিমালা পুনঃবহালের দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে খাগড়াছড়ি জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরিত স্মারকলিপিতে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐহিত্য, পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর রীতিনীতি এবং প্রথাসমূহ সংরক্ষণের জন্য উল্লেখ করা হয়।
গতকাল বুধবার খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে এই স্মারকলিপি তুলে দেন জেলা হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি চাইথোয়াই চৌধুরীসহ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন হিরন জয় ত্রিপুরা, স্বদেশ প্রীতি চাকমা, রনজিত ত্রিপুরা, জয়া ত্রিপুরা ও আনেউ চৌধুরী নয়ন প্রমুখ।