সৃষ্টিকর্তার নিকট মনের দোয়াই প্রাধান্য পায়

মোহাম্মদ ওয়াহিদ মিরাজ | বৃহস্পতিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

বিভিন্ন ভাবে আমাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা বা কথা হয়। এ সময় আমরা কেউ নিজের জন্য আবার কেউ বাবা-মা, ছেলে-সন্তান, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিত কারো জন্য দোয়া বা আশীর্বাদ চাই। অনেককে আবার প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমেও দোয়া প্রার্থনা করতে দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে একে অপরের জন্য আমরা তা করিও। কারণ দোয়া বা আশীর্বাদ করা প্রত্যেক ধর্মে অত্যন্ত ভালো কাজ হিসেবেই গণ্য। তবে আমি মনে করি দোয়া হলো একজন মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা আকুতি, যা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত অন্য কারো দেখার বা অনুভব করার সাধ্য নেই। আর সৃষ্টিকর্তা মানুষের মনের দোয়াই কবুল করেন।
সৎ মানুষের যে কোনো বিপদ বা তার মৃত্যুর কথা শুনার পরে দোয়া না চাইতেই আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে অজান্তে তাঁর জন্য দোয়া করতে শুরু করে। পক্ষান্তরে অসৎ মানুষ তার বিপদের সময়ে অগণিত বার দোয়া চাওয়ার পরে বাহ্যিকভাবে আমরা যখন দোয়া করি তখন আমাদের চোখের সম্মুখে তার খারাপ বৈশিষ্ট্যগুলো ভেসে ওঠে। মন আনমনে বলে ওঠে ‘তিনি তো অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক, তাই এটিই তার শাস্তি’ ইত্যাদি ইত্যাদি। ভেজালমুক্ত দোয়া পাওয়ার অধিকারী হতে হলে নিজেদেরকে মনে প্রাণে সৎ হিসেবে গড়ে তুলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তবে যে সততার মধ্যে প্রত্যেকটি উপাদান বিদ্যমান থাকে তাকেই প্রকৃত সৎ বলা যায়। আমাদের প্রত্যেকের উচিত অন্য মানুষের মন যেন আমাকে ভালো মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ঠিক সেভাবেই নিজেকে বিকশিত করা।
লেখক : সংবাদকর্মী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপের স্পিডবোট ভাড়া প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধউপমায় তুমি