করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস পরিচালনা করতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রথম দিন গতকাল চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত অফিসগুলোতে আগের মতো দৃশ্য দেখা গেছে। কোথাও লোকবল অর্ধেক করার চিত্র দেখা যায়নি। তবে আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে লোকবল কমিয়ে সরকারের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবল কমিয়ে ফেলা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
সূত্র বলেছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকার অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গত রোববার রাতে নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অর্ধেক কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্যান্য কর্মকর্তা–কর্মচারী নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করবেন। এই নির্দেশনা গতকাল সোমবার থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। কিন্তু গতকাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাস্টমস, চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং বাংলাদেশ রেলওয়েসহ কয়েকটি অফিসে স্বাভাবিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। দু’চারজন কর্মকর্তা ছুটিতে থাকলেও সরকারি নির্দেশনার অর্ধেক জনবল কোথাও পরিলক্ষিত হয়নি।
গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি বলে স্বীকার করে বলেন, আজ অর্ধেক লোকবল দিয়ে অফিস পরিচালনার কোন সুযোগ ছিল না। এজন্য একটি পরিকল্পনা করতে হবে। কাদেরকে বাসায় রেখে অফিস চালানো সম্ভব তাও দেখতে হবে। আমরা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবল কমিয়ে ফেলবো। বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রমে অফিসারদের শারীরিক উপস্থিতি বেশ জরুরি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, রোববার বিকেলে নির্দেশনা জারি হওয়ায় একদিনের মাথায় তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। আজ (গতকাল) থেকে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ পরিচালনার রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, নারী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘরে থেকে অফিস করার সুযোগ দেয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
তাছাড়া বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।