অনেকেই মনে করতে পারে তুলনায় সংসার নরকতুল্য হয় কিভাবে? ছোট্ট ছোট্ট খুনসুটিতে পরিবার ততদিন পর্যন্ত অমোঘ ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকবে যতদিন পর্যন্ত না সম্পর্কের মধ্যে তুলনা প্রবেশ করবে। সংসার জীবনে এই তুলনা নামক শব্দটির ব্যবহার করতে গেলে তো দ্বন্দ্ব বাঁধবেই।
যেকোনো বিষয়ে স্বামী যদি প্রতিনিয়ত অন্য নারীর সাথে নিজের স্ত্রীকে তুলনা করতে থাকে। যেমন:- তুমি রমিহের বউয়ের মত ভালো রান্না করতে জান না, করিমের বউয়ের মত সুন্দর না, সোহাগের বউয়ের মত জ্ঞানী না, সাইদের বউয়ের মত সঞ্চয়ী না, আব্বাসের বউয়ের মত যত্নশীল না ইত্যাদি ইত্যাদি।
অপরদিকে, স্ত্রী যদি তার স্বামীকে অনুরূপভাবে পরপুরুষের সাথে তুলনা করে। তাহলে ঐ সংসারে আর সুখ আশা করা যায় না। কারণ, দুজনের মধ্যে তুলনা ঢুকে পড়েছে। ফলে, ‘তুলনায়’ স্বামী বা স্ত্রী দুজনেরই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই বেশিরভাগ পরিবার তাদের নিজের অজান্তেই তাদের সংসারকে নরকতুল্য করে তুলে। অথচ, তুলনাকে সমঝোতায় এ রূপান্তরিত করতে পারলেই সুখে থাকা যায়। জীবনে সুখে থাকার জন্য তুলনা না করে সমঝোতা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। লেখক: তরুণ সমাজকর্মী